আজকের শিরোনাম :

নয়নের সঙ্গেও বিয়ে হয়েছিল মিন্নির!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০১৯, ১১:০২

বরগুনায় স্ত্রীর সামনে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সঙ্গে প্রধান অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ডের বিয়ে হয়েছিল। তাদের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাজী মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি বরগুনা পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্টার। বরগুনা পৌরসভার ডিকেপি রোডের কেজি স্কুল নামক স্ট্যান্ডে তার অফিস।

নয়ন বন্ডের ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বিয়ের প্রথম সাক্ষী রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় আসামি বাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজি। গত বছরের ১৫ অক্টোবর আসরের নামাজের পর তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের দেনমোহর হয়েছিল ৫ লাখ টাকা। তবে দেনমোহরের কোনো নগদ পরিশোধ ছিল না।

কাজী মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বিয়ে করার জন্য নয়ন ও মিন্নিসহ ১৫ থেকে ২০ জন লোক আসে আমার অফিসে। এ সময় নয়ন ও মিন্নি তাদের ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার প্রমাণস্বরূপ এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট নিয়ে আসে। এর পর আমি মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা জানতে চাইলে তারা বলে, মেয়ের বাবা আসবে না, আপনি মেয়ের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। এর পর মিন্নির মা পরিচয়ে একজন আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

তিনি আমাকে বলেন, বিয়ের বিষয়টি আমরা তো জানি। মিন্নির বাবা বিয়েটা এখন মানবে না। আপনি বিয়ে সম্পন্ন করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ঠিকই মেনে নেবেন। এর পর আমি ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে নয়ন ও মিন্নির বিয়ে সম্পন্ন করি। এ বিয়ের উকিল ছিলেন শাওন নামের একজন। শাওন ডিকেপি রোডের মো. জালাল আহমেদের ছেলে।

এদিকে নয়নের সঙ্গে বিয়ে এবং সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। তিনি বলেন, ‘নয়ন নামের ছেলে আমারে খুব ডিস্টার্ব করত, হুমকি-ধমকি দিত, অস্ত্র দেখাইত। আমার ভাইকে বলত, ওরে মাইরা ফালাইবে। আমার বোনরে বলত, মাইরা ফালাইবে। আমার আব্বুরে হুমকি-ধমকি দিত। একদিন আমারে ধইরা, অস্ত্র নিয়া, আমারে একটা বাসায় নিয়া একটা সাইন রাখছিল। এখন ওইটা দিয়া কিছু কি না আমি জানি না। তবে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ