আজকের শিরোনাম :

ধুনটে যমুনা নদীতে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন : ঝুঁকিতে বাঁধ ও প্রকল্প

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০১৯, ১৮:৪৭

বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে যমুনার তীরবর্তী ফসলী জমি, ঘরবাড়ী ও বণ্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সহ ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নদীর ডান তীর সংরক্ষন প্রকল্প ভাঙ্গন ঝুঁকিতে পড়েছে।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর ভাঙ্গনরোধে ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বানিয়াজান থেকে রঘুনাথপুর গ্রাম পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ মিটার তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। ভান্ডারবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকা থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি গত কয়েকদিন যাবত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রকল্প এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে পাইপের সাহায্যে ভান্ডারবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের সুটিং স্পটের খালি জায়গায় ফেলা হচ্ছে। এদিকে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় সিসি ব্লক যমুনা নদীতে ধসে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের একেবারেই নিকটে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রকল্পের সিসি ব্লক ধসে ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া যমুনার তীরবর্তী ফসলি জমি ও বাঁধে আশ্রিতদের ঘরবাড়ী হুমকির মুখে পড়েছে। তবে স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ হাতিয়ে নিলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

বালু ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, বালু উত্তোলনে প্রশাসনের নিকট থেকে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। ভান্ডারবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের ব্যবসায়ীদের দোকানঘর উচ্ছেদ করায় বালু তুলে পাশ্ববর্তী জায়গা ভরাট করা হচ্ছে। তবে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলনে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কোনো ক্ষতি হবে না বলে তিনি দাবি করেন।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, যমুনার তীর থেকে বালু উত্তোলন করলে প্রকল্পের ক্ষতি হবে। এ কারনে সেখান থেকে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকেন তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, যমুনা নদীর তীর সংরক্ষন প্রকল্পের ক্ষতি করে কেউ বালু উত্তোলন করলে খোঁজ নিয়ে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এবিএন/ইমরান হোসেন ইমন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ