আজকের শিরোনাম :

ঠাকুরগাঁওয়ে উক্ত্যাক্তকারীর ছুরিকাঘাতে আহত মেয়েটির মৃত্যু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০১৯, ১৫:০৭

বখাটেদের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সেই তানজিনা আক্তার (২০) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সাত দিন পরে অবশেষে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যায় মেয়েটি। নিহত তানজিনা শহরের গ্রামীন চক্ষু হাসপাতালের সেবিকা (নার্স) ও  সালন্দর ইউনিয়নের মাদ্রাসা পাড়া গ্রামের হামিদ আলীর মেয়ে। গত ২০ জুন ঠাকুরগাঁও শহরের মাদ্রাসা পাড়া এলাকায় বখাটেদের ধারালো ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয় তানজিনা আক্তার।

গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন নার্স তানজিনা (২০)। ওই সময় রাস্তায় ওত পেতে থাকা জীবন গতিরোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। তানজিনার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে জীবন পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী জীবনকে আটক করে পুলিশে দেয়।

তানজিনার বাবা হামিদ আলী অভিযোগ করে বলেন, জীবন প্রতিদিন এলাকার বিভিন্ন মেয়েদের উক্ত্যক্ত করতো। আমার মেয়ে অন্যায় সহ্য করতে না পেরে উক্ত্যক্তকারী জীবনকে শাসন করে। এরই জের ধরে জীবন আমার মেয়েকে ছুরিকাঘাত করে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনার দিনে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জীবনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লেখ্য:- কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ঠাকুরগাঁও গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালের নার্স তানজিনা বখাটে যুবক জীবনের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছিল। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। স্থানীয়রা জীবনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছিলেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তানজিনার চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবির জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় বোনকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কী কারণে জীবন এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা কেউ বলতে পারছে না। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, তানজিনার সুস্থ হতে উন্নত চিকিৎসা ও সময়ের প্রয়োজন। তাই তাকে রংপুরে রেফার্ড করা হয়।


এবিএন/রবিউল এহসান রিপন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ