আজকের শিরোনাম :

হাতীবান্ধায় স্কুল মাঠে মিক্সার মেশিন: অসুস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০১৯, ১১:৫৬ | আপডেট : ২৬ জুন ২০১৯, ১১:৫৮

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সড়ক মেরামতের নির্মাণ সামগ্রী রাখায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। 

মিক্সার মেশিন চলায় ওই উপজেলার পন্ডিতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধুবনী সরকারি প্রাথমিক বিদালয় ও গহের আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। শ্রেণী কক্ষে কমে গেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। 

এ কারণে বিদ্যালয়গুলোর জানালা দরজা বন্ধ করে চালানো হয় শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষকদের লাইব্রেরীর জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। 

সরে জমিনে দেখা যায় হাতীবান্ধাহাট-বড়খাতা বিডিআর গেট সড়ক মেরামতের কাজ করছে জাহেদুল ইসলাম সজিব নামে এক ঠিকদার। সড়ক মেরামতের পাথর, বালু, বিটুমিনের ড্রাম, মিক্সার মেশিনসহ নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে ওই উপজেলার পন্ডিতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধুবনী সরকারি প্রাথমিক বিদালয় ও গহের আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে। বিদ্যালয়ের পাশেই ড্রামে করে জ্বালানো হচ্ছে বিটুমিন। বিটুমিন জ্বালানো আর মিক্সার মেশিনের ধোয়া-ধুলায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিদ্যালয়গুলোর জানালা ও দরজা বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। ধোয়া ও ধুলার কারণে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শ্রেণী কক্ষ গুলোতে কমে গেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি।

পন্ডিতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে গিয়ে দেখা যায় ছেলে-মেয়েরা মুখে মাক্স পরে ক্লাস করছে। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র জাকারিয়া জানায় আমরা ভালো নেই। আমাদের অনেক সহপাঠী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। একই শ্রেণীর ছাত্রী নিশাত আক্তার জানায় ধোয়া-ধুলার কারণে আমরা ক্লাস করতে পারছি না। এখনই আমাদের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে এ সমস্ত জিনিসপত্র স্কুল মাঠ থেকে সরিয়ে নিতে হবে। একই অবস্থা ধুবনী সরকারি প্রাথমিক বিদালয় ও গহের আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা বলেন প্রায় দেড় মাস ধরে বিদ্যালয় মাঠে এসব নির্মাণ সামগ্রী রেখে কাজ করা হচ্ছে। নির্মাণ সামগ্রী রাখায় বিদ্যালয়ের মাঠ নষ্ট হয়ে গেছে। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে। জানালা বন্ধ করে ক্লাস নিতে হয়। যে কারণে ঠিক ভাবে পাঠদান কার্যক্রম চালানো যায় না। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানাই। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

ঠিকাদার জাহেদুল ইসলাম সজিব বলেন ওই এলাকায় কোনো খালি জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বিদ্যালয়ের মাঠ ব্যবহার করতে হচ্ছে। 

হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী অজয় কুমার সরকার জানান বিদ্যালয় মাঠগুলোতে মিক্সার মেশিনের কাজ আপতত বন্ধ আছে। 

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন জানান বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা প্রকৌশলীকে নিদের্শও দিয়েছেন।

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ