সিরাজগঞ্জে ছাত্রকে নেশা করতে নিষেধ করায় শিক্ষককে মারপিট

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০১৯, ১৭:১৩

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার রঘুনিলী মঙ্গলবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আইয়ুব আলীকে (৩৮) একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সাব্বির হোসেন ও তার স্বজনরা প্রকাশ্য জনসম্মুখে বেদম মারপিট করেছে। ওই ছাত্রকে নেশা করতে নিষেধ করায় শিক্ষক আইয়ুব আলীকে মারপিট করা হয়েছে।

তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে অর্ধ-বার্ষিক ও প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা বর্জন করে স্কুল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উক্ত স্কুলের গণিত শিক্ষক আইয়ুব আলী একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির  ছাত্র সাব্বিরকে নেশা করতে নিষেধ করায় তাকে ২ দফা মারপিট করে এই ছাত্র ও তার স্বজনরা। প্রহিৃত ওই স্কুল শিক্ষক আইয়ুব আলী সাংবাদিকদের বলেন, ওই ছাত্র প্রায়ই শ্রেণি কক্ষে বসে অথবা বিদ্যালয় মাঠে বসে অন্যান্য ছাত্রদের সামনেই ড্যান্ডি নেশা করে থাকে।

এ বিষয়ে ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে তাকে ওই নেশা করতে নিষেধ করি এবং শাসন মূলক একটি থাপ্পড় দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্র ও তার স্বজনরা স্কুলে আসে এবং আমাকে মারপিট করে।

এ খবর বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে। এতে আবারো তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে হামলা চালিয়ে শত শত শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের সামনে তাকে আবারও ২য় দফা মারপিট করা হয়। এ বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউজ্জামান নান্নু বলেন, ঘটনার সময় তিনি লাইব্রেরীতে বসে কাজ করছিলেন। বাইরে বিশৃঙ্খলা শুরু হলে তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ বিষয়ে আইনহত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।  তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফকির জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষক আইয়ুব আলীকে মারধরের বিষয়টি জেনেছি। নিয়মানুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
 

এবিএন/এস.এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ