আজকের শিরোনাম :

দাউদকান্দিতে কৃষকের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০১৯, ১২:৪১

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কৃষকের ওপর হামলা গুলিবর্ষণ ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গতকাল রবিবার দুপুরে নির্যাতিত কৃষক ও চারটি গ্রামের নিরীহ গ্রামবাসীর উদ্যোগে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের উপজেলা জিংলাতলী ইউনিয়নের ধীতপুরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  এতে চারটি গ্রামের সকল শ্রেণীর প্রায় দুই হাজার কৃষক-জনতা অংশগ্রহণ করেন।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায় আলমগীর মোল্লা জিংলাতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর রায়পুর, রামপুর, বানিয়াপাড়া ও ধীতপুর গ্রামের প্রায় হাজার বিঘা জমিতে জোড় করে মাছ চাষ করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কেউ এর প্রতিবাদ করলেই নিরীহ লোকদেরওপর নির্যাতনের খড়ঘ নেমে আসে। গত রোজার ঈদের দিন ধীতপুর গ্রামের কৃষকরা তাদের জমিতে ধীতপুর একতা মৎস্য চাষ প্রকল্পে বাঁধ দিয়ে মাটি কাটার সময় আলমগীর চেয়ারম্যান নিজে ঘটনাস্থলে নেতৃত্ব দিয়ে তার বাহিনী নিয়ে ধীতপুর ও মোল্লাপাড়া গ্রামবাসীর ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। 

এ সময় কয়েকজন কৃষক আহত হয় এবং খবর পেয়ে মডেল থানার দুই গাড়ি পুলিশ এসে সন্ত্রাসীদেরকে ধাওয়া করে একজনকে আটক করে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩টি গুলির খোশা দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। কৃষক নাজির হোসেন বাদী হয়ে মডেল থানায় একটি মামলা করেন। 

আলমগীর চেয়ারম্যান স্বাক্ষী হয়ে তার অনুগত এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বোরহানকে দিয়ে উল্টো মাছ চুরির অপবাদ দিয়ে কৃষকদের নামে কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এ মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে জুলমবাজ ও ভূমিদস্যু চেয়ারম্যানে হাত থেকে কৃষকের জমি উম্মুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ ব্যাপারে নির্যাতিত কৃষক বজলুল রহমান বলেন আমার ও আমাদের গ্রামের কৃষকের কয়েক ‘শ বিঘা জমি জোড়পূর্বক মাছ চাষ করতে আসলে আমি ও দিপু মেম্বার এতে প্রতিবাদ করি। মধ্যে রাতে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাকে ও দিপু মেম্বারকে হামলা করে। এতে আমরা দুজনই মারাত্মকভাবে জখম হই। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকির মুখে আমরা ভয়ে মুখ খলতে পারিনি। এ ব্যাপারে আমাদের জমিকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা লিজ দেওয়া খবর পেয়ে আমরা আমাদেও জমিতে বাধ নির্মাণ করতে গেলে ঈদের দিন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের নিরীহ কৃষকের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। মাইকে ঘোষণা দিয়ে নারী-পুরুষ সকলে এর প্রতিবাদ করি। পুলিশ এসে আমাদেরকে রক্ষা করে।

নির্যাতিত কৃষক সাইদুজ্জামান টিপু বলেন আরডিভি মৎস্য চাষ প্রকল্পের কয়েকশ বিঘার জমিতে মাছ চাষ করে কৃষকের পাওনা না দিয়ে কোটি টাকা জোড় করে নিয়ে যায়। আমি কৃষকের পক্ষে প্রতিবাদ করায় গৌরীপুর বাজারে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। আমার মামলার চার্জশীট আদালতে বিচারধীন। আমার মত অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সাধারণ নিরীহ কৃষক নির্যাতিত হয়েছে আমরা এর থেকে মুক্তি চাই।

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলামের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন রোজার ঈদের দিন কৃষকের ওপর হামলার ঘটনায় নাজির হোসেন বাদী হয়ে আলমগীর চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

এবিএন/ওমর ফারুক/গালিব/জসিম


 

এই বিভাগের আরো সংবাদ