আজকের শিরোনাম :

চরভদ্রাসনে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নামে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০১৯, ১১:৩৬

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে গবাদী পশু, ছাগল ও হাঁস মুরগী পালন বাবদ মে ২০১৯ এ ১২ জন উপকারভোগীকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ টাকা ভূয়া উপকারভোগী দেখিয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানা কাকলী নিয়েছেন এ মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায় স্বল্প সুদে গ্রামের দরিদ্র মহিলাদের স্বাবলম্বী করার লক্ষে উপজেলার সদর ইউনিয়নের এমকে ডাঙ্গী গ্রামের সাজেদা, হেলেনা আক্তার, ফারহানা, চরভদ্রাসন বাজারের সেলিনা আক্তার, মধু শিকদারের ডাঙ্গী রুমা বেগম, তমেজখার ডাঙ্গীর হাফেজা বেগম, কেএম ডাঙ্গীর কোহিনুর বেগম, টিলার চর গ্রামের বিলকিস, গাজীরটেক ইউনিয়নের মুন্নি আক্তার হরিরামপুর ইউনিয়নের নাসিমা, হাসি আক্তার। এ ছাড়া দাড়াজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের আনুরা বেগম প্রত্যেকের নামে ১৫ হাজার করে মোট ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়।
কিন্তু ওই কর্মকর্তা মিথ্যা উপকারভোগী দেখিয়ে সাজেদাকে বারতি সুবিধা দিয়েছেন। বাকি ১০ জনের টাকা তিনি উত্তোলন করে নিয়েছেন।  

সরেজমিনে সদর ইউনিয়নের সেলিনার স্বামী খলিল মন্ডল, রুমা বেগম, বিলকিস, কোহিনুর সকলের সাথে কথা বলে জানা যায় ঋণের আবেদন তো দূরের কথা এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না। 

এ ছাড়া হাফেজা, আনুরা ও ফারহানার ঠিকানা গড়মিল থাকায় সঠিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনিরা সুলতানা সাজেদা ঋণ নিয়েছেন বলে জানান এ ব্যাপারে তিনি বলেন “১৫ হাজার টাকায় বছরে মাত্র ৭৫০ টাকা সুদ দিতে হয়। আমার অন্য জায়গায় বেশি সুদে ঋণ নেওয়া ছিল। তাই আমার ভাগনি হেলেনার নামে ১৫ হাজার ও আমার নামে ১৫ হাজার মোট ৩০ হাজার টাকা তুলে ঐ পাওনাদারকে দিয়েছি।”

এ বিষয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ তার কাছে জানতে চাইলে বলেন আপনাদের তথ্য সঠিক না। আমার কাছে তালিকা আছে। তখন উপস্থিত সাংবাদিকগণ তালিকাটি দেখতে চাইলে তিনি বলেন তালিকা দেখতে হলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে হবে। তবে তিনি টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন সাজেদাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি বাকি টাকা তুলে আমি অন্য একাউন্টে জমা রেখেছি। এক জনকে ১৫ হাজারের বেশি দেওয়া যায় কিনা জানতে চাইলে এবং জমা দানের রশিদ দেখতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বলেন আমি আপানাদের কোন তথ্য দিব না। বাধ্য হয়ে সাংবাদিকরা বের হয়ে আসেন। 

বিষয়টি জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুদা হোসেনকে অবগত করলে তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন পুনরায় ওই অফিসে যাবার জন্য। তার কথা মত ওই অফিসে গেলে শাহানা কাকলী সাংবাদিকদের তার কক্ষে বসিয়ে রেখে বেরিয়ে যান এবং মোবাইল বন্ধ করে দেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল বন্ধ দেখতে পান।

এবিএন/কে এম রুবেল/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ