আজকের শিরোনাম :

ধুনটে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি চাল হরিলুটের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০১৯, ২২:২২

বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে গরীব দুস্থদের সরকারি চাল হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। চাল না পেয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের ৮৪জন তালিকাভুক্ত দরিদ্র নারী-পুরুষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ও হত দরিদ্রদের অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ভাবে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নে ২৫.৭২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ১ হাজার ৭১৫ জনের নাম ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় তালিকাভূক্ত করেন। তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেক দুস্থ ব্যক্তিকে বিনামূল্যে ১৫ কেজি করে চাল প্রদান করার কথা ছিল। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে গত ৩ জুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সরকার ও কতিপয় মেম্বাররা ভুয়া তালিকা তৈরী করে এবং ৫ কেজি করে কম দিয়ে দুস্থদের প্রায় ১৫ মেট্রিক টন চালই হরিলুট করেছেন।  এছাড়া তালিকায় নাম থাকলেও ৮৪জন দুস্থ ব্যক্তিকে এক কেজি করেও চাল দেওয়া হয়নি। চাল না পেয়ে খালি হাতেই বাড়ী ফিরেছেন তারা।

ভিজিএফের চাল বঞ্চিত মহিশুরা গ্রামের মোলা বক্স, স্বপ্না খাতুন ও রান্ডিলা গ্রামের শেফালী খাতুন জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সরকার সহ কয়েকজন মেম্বার মিলে ভুয়া নামে চাল উত্তোলন করে এবং ৩০০ থেকে ৩৫০ জন মানুষকে ১০ কেজি করে চাল দিয়ে পুরো চালই হরিলুট করেছেন। তালিকায় নাম থাকলেও আমাদের এক কেজি চালও দেওয়া হয়নি। তাই চাল না পেয়ে শত শত দরিদ্র মানুষ খালি হাতেই বাড়ী ফিরেছেন। এবিষয়ে বিভিন্ন গ্রামের ৮৪জন দুস্থ মানুষ ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

তবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের ১৫ কেজি করেই চাল দেওয়া হয়েছে দাবি করে গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সরকার বলেন, তালিকাভুক্ত এক জনের নামের স্লীপ অন্য জন এনে কৌশলে চাল উত্তোলন করে নিয়েছে। হয়তো একারনে দুইএকজন চাল পায়নি। তবে এলাকার কতিপয় ব্যক্তি দুস্থদের ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে চাল আত্মসাত ও কম দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগটি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিএন/ইমরান হোসেন ইমন/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ