আজকের শিরোনাম :

রাজবাড়ীর কালুখালীতে নির্বাচন স্থগিত চাইলেন নৌকার প্রার্থী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০১৯, ১৬:২৬

তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নৌকার পক্ষের নেতা কর্মীদের উপর হামলা মামলা ও নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে না দেয়া, সন্ধ্যা থেকে গভীর রাতে ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি পদর্শন,ককটেল বিস্ফোরণ করে নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ এনে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত চেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী কাজী সাফুল ইসলাম।

আজ ১৮ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ভোট স্থগিত করার দাবি জানান। ৫ম ও শেষ ধাপে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার ৪৬টি ভোটকেন্দ্রে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত

কালুখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাজী সাইফুল ইসলামের নৌকা প্রতীকের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দকী হক মোটরসাইকেল প্রতীক ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের কাজী সাইফুল ইসলাম কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারমান বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা-মামলা ও ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে আমাকে পরাজিত করতে এমন কোন এহেন কর্মকান্ড নেই যা করেনি একটি কুচক্রী মহল। আর এই মহলটি পরিচালনা করছে স্থানীয় সংসদ। তিনি আজ আমাওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ততথা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

সাইফল ইসলাম আরো বলেন, তার প্রায় অসংখ্য নেতাকর্মীকে মারধর ও কয়েকজনের হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার তার প্রধান সমর্থক মদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। এসব বিষয়ে পুলিশের কাছে একাধিক বার লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। পুলিশ আজ একটি বিশেষ লোকের পেটুয়া বাহীনিতে পরিনিত হয়েছে। তাদের ভূমিকা নিরপেক্ষ নয়। তিনি বলেন ডিবি পুলিশ আমার আজ নির্বাচনের দিন আমার বাড়িতে লাঠি নিয়ে প্রবেশ করেছে। এবং আমার এক বাকপ্রতিবন্ধী সমর্থক কে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আজ নির্বাচন, কিন্তু এখনো নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ৫ শতাধিক সন্ত্রাসী স্বশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে। রাতে আমার সমর্থক ও এজেন্টদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করা হয়েছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা হয়েছে। কেন্দ্রে কেউ ভোট দিতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আজ সকাল ৮টায় নির্বাচন কর্মকর্তা কে জানিয়েছি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করা না হলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেব এবং এ বিষয়ে মামলা করব।

এদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাজবাড়ী ইউনিয়নের মাজবাড়ী ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর এজেন্ট ঢুকতে না দেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, রাজবাড়ীর ৫টি উপজেলার ৪টি উপজেলায় ৩য় ধাপে ২৪ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবং ১৮ জুন ৫ম ও শেষ ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ২০১০ সালে ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় কালুখালী উপজেলা। কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন পুরুষ ও চারজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় ভোটার রয়েছে ১লক্ষ ১৭হাজার ৭৬৭ জন। মোট ৪৬টি কেন্দ্রে-বুথ সংখ্যা-২৯৮টি।
 

এবিএন/খন্দকার রবিউল ইসলাম/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ