রুমায় আনারসের বাম্পার ফলনে খুশিতে চাষীরা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০১৯, ১২:০৫
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় এবার আনারসের বাম্পার ফলনে আনন্দে দিন কাটছে আনারস চাষীদের। কারণ তারা প্রতিটি আনারস ১৩ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে ঘর থেকেই, পাইকার ব্যবসায়ীরা পাড়ায় এসে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। যদিও স্থানীয় বাজারে প্রতিটি আনারসের খুচরা দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা।
রুমার আনারস চাষে প্রসিদ্ধ বেথেল পাড়ায় সরেজমিনে দেখা যায় চাষীরা বাগান থেকে আনারস সংগ্রহ করে সেগুলো আবার গ্রেডিং করে বিক্রির জন্য পাড়ার মাঝখানে সাজিয়ে রাখছে।
এভাবে রুমার মুনলাই পাড়া, লাইরুনপি পাড়া, ইডেন পাড়া প্রভৃতি এলাকার আনারস চাষীরা আনারসের আকার অনুযায়ী গ্রেডিং করে পাড়া থেকেই বিক্রি করছে, নেই কোন পরিবহন ঝামেলা।
কৃষি বিভাগের উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. ইউছুপ জানান রুমা উপজেলায় ১৪০০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়ে থাকে। রুমার শুধু বেথেল পাড়াতেই প্রায় ৭০ পরিবার ঐতিহ্যগতভাবে আনারস চাষের সাথে জড়িত, তারা প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ করে আসছে। জায়ান্টকুইন নামের আনারসের এ জাত আকারে যেমন বড় তেমনি খেতেও রসালো ও অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে থাকে।
এবার চাষীরা বলছেন প্রতি শতাংশে প্রায় ৩ হাজার ফলন হয়েছে, গত বছরের তুলনায় ফলন প্রায় দ্বিগুণ। উৎপাদন ব্যয় এ বছর কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও ভালো ফলন ও দামে চাষীরা সন্তুষ্ট।
কৃষি বিভাগের সূত্রে জানা যায় এ বছরের অনিয়মিত বৃষ্টিপাত আম, লিচুসহ অন্যান্য ফসলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়লেও আনারসের ক্ষেত্রে কোন ক্ষতি হয়নি, তাছাড়া পাহাড়ের মাটি আনারস চাষের জন্য অত্যন্ত অনুকূল।
বেথেল পাড়ার আনারস চাষী লমজুয়াল বম জানান তার মাত্র ২ শতাংশ জমির একটি বাগানের উৎপাদিত আনারস বিক্রি করে আয় হয়েছে ৬০ হাজার টাকা।
চাষীরা বলছেন প্রক্রিয়াজাত করণ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় আনারস পরিপক্ক হওয়ার সাথে সাথেই তড়িঘড়ি উত্তোলন করে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন, যদি এসবের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে আরো ভালো দামে বিক্রি করতে পারতেন তারা। এবিএন/চনুমং মারমা/গালিব/জসিম
চাষীরা বলছেন প্রক্রিয়াজাত করণ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় আনারস পরিপক্ক হওয়ার সাথে সাথেই তড়িঘড়ি উত্তোলন করে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন, যদি এসবের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে আরো ভালো দামে বিক্রি করতে পারতেন তারা। এবিএন/চনুমং মারমা/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ