আজকের শিরোনাম :

সাঘাটায় স্ত্রী হত্যায় মিথ্যা মামলার অভিযোগে জেল খাটছে স্বামী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০১৯, ১০:৪৬

স্ত্রী রেবেকাকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগে দীর্ঘ ৮ মাস যাবৎ জেল খাটছে সাঘাটা উপজেলার চাকলি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আপেল মাহমুদ। 

গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে গতকাল সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এর প্রতিকার দাবি করেন তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম। এ দিকে মাকে হারিয়ে এবং পিতা কারাগারে আটক থাকায় আপেল মাহমুদের অসহায় শিশু ছেলেরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। 


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে উলে¬খ করা হয় কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কর্মরত আপেল মাহমুদ তার স্ত্রী রেবেকা বেগম পিকচারকে নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের শ্রীপতিপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। রেবেকা বেগম গত ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

এ সময় স্বামী আপেল মাহমুদ নিকলী উপজেলায় অবস্থান করছিল। ফলে পার্শ্ববর্তী আশেপাশের লোকজন মো. সেলিম. শফিকুল ইসলাম, শিউলী বেগম ও তার মেয়ে চায়না বেগম সিএনজিযোগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রেবেকা বেগমকে নিয়ে গিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে ভর্তি করায়। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্ট্রোকে রেবেকার মৃত্যু হয়েছে বলে ছাড়পত্র দেয়।

কিন্তু রেবেকার বেগম পিকচারের পিতা বাদী হয়ে এই মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যাকান্ড দাবি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে পোস্ট মর্টেমের জন্য পুলিশ রেবেকার লাশ গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে রেবেকাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা উলে¬খ করা হয়। এরপর গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ এই হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। 

এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম তার ভাইয়ের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, তার মুক্তির দাবি এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছে। 

এ ছাড়া এই মিথ্যা হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে আপেল মাহমুদ ও তার পরিবারের লোকজন নানাভাবে পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উলে¬খ করা হয়। 

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এর আপেল মাহমুদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ প্রতিকারের দাবি  জানানো হয়। 

এবিএন/আরিফ উদ্দিন/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ