আজকের শিরোনাম :

বাউফলে স্বামীর নির্যাতনে শিকার হয়ে গৃহবধূ হাসপাতালে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০১৯, ১৬:৫০

পটুয়াখালীর বাউফলে  যৌতুক লোভী এক পাষন্ড স্বামী নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন  লাভুনি বেগম নামের এক গৃহবধূ। 

আজ সোমবার ( ১৭ জুন) বাউফল হাসপাতালে গিয়ে দেখা হয় লাভুনীর সাথে। এ সময় তিনি জানান ৭ বছর আগে বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খেজুর বাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ মুন্সির ছেলে জসীম উদ্দিন মুন্সির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর শশুর শাশুড়ি ও স্বামীকে নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করেন তিনি। প্রায় দুই বছল আগে তার স্বামী জসীম উদ্দিন স্থানীয় রুনু নামের এক তরুনীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইলে লাভুনির চাপে তা সম্ভব হয়নি। 

এ কারণে লাভুনির উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে স্বামী জসীম উদ্দিন  শারীরিক মানুষিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিছু দিন বাবার বাড়ি থেকে লাভুনি আবার স্বামীর বাড়ি চলে আসেন। এর মধ্যে লাভুনি অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পরেন। এ অবস্থায়ও তার উপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। চুলের মুঠি ধরে ঘরের বেড়ার সাথে মাথা টাকানোসহ মাটিতে ফেলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হতো। এভাবে একাধারে ৮ দিন পর্যন্ত তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের তীব্রতা সইতে না পেরে তিনি বাবার বাড়ি চলে আসেন। সেখানে তার একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বাবার বাড়িতেই সন্তান নিয়ে এক বছর কাটান তিনি। এরপর গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তার স্বামী তাকে বাড়ি নিয়ে যান। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই আবার তার ওপর শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন। কথায় কথায় তাকে মারধর করা হতো। শুধু তাই নয় বিকৃত যৌনাচার করা হতো তার সঙ্গে। বাধাঁ দিলে শরীরে স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করা হতো। 

গত শনিবার (১৫ জুন) অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে লাবনী অসুস্থ হয়ে পড়লে খবর পেয়ে তার মা তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে বাউফল হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। একের পর এক শাররীক ও মানুষিক নির্যাতনের ফলে হতাশ হয়ে পরেছেন। সিদ্ধান্ত নেয়, সন্তানসহ আত্মহত্যা করবেন তিনি।
    
এবিএন/মো. দেলোয়ার হোসেন/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ