আজকের শিরোনাম :

বোচাগঞ্জে দারিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০১৯, ১৩:৩৫

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার অতি দারিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্প ইজিপির (চল্লিশ দিনের) কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অভিযোগে জানা গেছে বোচাগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কর্তৃক উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৫৪টি ওয়ার্ডের ৫৪টি প্রকল্পের জন্য ৯৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় যেখানে ২শত টাকা হাজিরা দরে ১ হাজার ১শত ৪৭ জন পুরুষ ও নারী শ্রমিক কাজ করছে। গত এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ থেকে কাজ শুরু হয় বলে জানা গেছে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী দুলাল কুমার কুন্ডু, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রেজাউল ইসলাম ও ট্যাগ অফিসাররা উক্ত প্রকল্পের কাজ দেখা শুনার দায়িত্ব থাকলেও ঠিকমত কাজ না দেখার কারণে অধিকাংশ ওয়ার্ডের কাজের মান ও শ্রমিকদের উপস্থিতি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বাররা উক্ত প্রকল্পে তাদের নিজস্ব লোক দিলেও বাস্তবে তারা অনুপস্থিত থেকেও সপ্তাহ শেষে ঠিকই বিল উত্তোলন করছেন। 

গতকাল ১৬ জুন রবিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ৪নং আটগাঁও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আকতারুল ইসলামের ওয়ার্ডে ২৪ জন শ্রমিক থাকার কথা থাকলেও সেখানে উপস্থিত রয়েছে ২০ জন। 

এর মধ্যে ইউপি সদস্য আকতারুলের ভাই আনোয়ার ইসলামসহ ৪ জন, ১নং নাফানগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ২৫ জন শ্রমিকদের মধ্যে ২ জন, ৩নং মুশিদাহট ইউনিয়নের ৭ জন ওয়ার্ডে ১১ জন শ্রমিকের মধ্যে ২ জন এর মধ্যে উক্ত ইউপি সদস্য সুকুমার রায়ের নিজস্ব লোক আকালু চন্দ্র রায় ও ফটিক চন্দ্র দাস, ১নং নাফানগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শ্যামল কুমার রায়ের ছেলে স্বপন কুমার রায় শ্রমিক তালিকায় থাকলেও সে কাজ না করেও টাকা উত্তোলন করছে। 

অভিযোগে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্যরা অফিসের সাথে যোগসাজস করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তাদের নিজস্ব লোকদের কর্মসৃজন প্রকল্পে অর্ন্তভূক্ত করে বিভিন্ন ভাবে ফায়দা লুটছে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী দুলাল কুমার কুন্ডুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান তার একার পক্ষে এত বড় কাজ তদারকি করা সম্ভব নয় তবে অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।  

এবিএন/মো. সাজ্জাদুল আযম সাজ্জাদ/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ