আজকের শিরোনাম :

ধর্ষণ আইনের বাস্তবায়ন ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০১৯, ১১:৫১

”ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ পরিস্থিতিতে জাতি হতবাক! আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে” বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা দর্পণ, সেইভ ইনোসেন্স এবং তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি (গ্রাসরুটস) এর যৌথ উদ্যোগে ১৬ জুন কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি (দুপ্রক) এর সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মোহাম্মদ আলমগীর খান।

সভাপতিত্ব করেন সাপ্তাহিক অভিবাদন এর সম্পাদক আবুল হাসানাত বাবুল। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দর্পণ এর নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুব মোর্শেদ। সমাবেশে অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক অশোক বড়ুয়া, রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি সাদিক মামুন, রিপোর্টাস ইউনিটির সহ-সভাপতি ওমর ফারুকী তাপস, দীপ্ত টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি শাকিল মোল্লা, সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জাকির, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি নাগমা মোর্শেদ, মহিলা কল্যাণ সংস্থার সভানেত্রী নাসিমা আক্তার, নারী উদ্যোক্তা মায়া নাসরিন, নারী উদ্যোক্তা মরিয়ম আক্তার মনি, নারী উদ্যোক্তা বিলকিস আক্তার লাইজু, ফটো সাংবাদিক এন. কে রিপন, নারী উদ্যোক্তা ফয়জুন নেছা মুন্নী, দর্পণের সহকারী প্রকল্প পরিচালক নাজনীন আক্তার,

আওয়ার লেডি অব ফাতেমা গালর্স হাই স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো: আলাউদ্দিন,  সমতটের কাগজ এর সম্পাদক জামাল উদ্দিন দামাল এবং ডিস্ট্রিক্ট ক্যাম্পেইন ফ্যাসিলেটেটর সালমা আক্তার চৈতি। সমাবেশে বক্তাগন বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসালয়সহ সর্বস্তরে আশংকাজনকভাবে শিশু ও নারী ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন ও হত্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধিসহ কমছে দেশব্যাপী নারী ও শিশুর সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনভাবে নিরাপদ চলাচলের সুযোগ বিঘিœত হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারকে এখনই আইনের কঠোর প্রয়োগ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”

সমাবেশে বক্তাগন যেসব দাবী উত্থাপন করেন সেগুলো হলোঃ মাদ্রাসায় পূরুষ শিক্ষকের পাশাপাশি নারী শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করতে হবে, মাদ্রাসা শিক্ষার পাঠ্যপুস্তক ও কারিকুলাম আধুনিকায়নসহ এই শিক্ষায় সরকারী তদারকি বৃদ্ধি করতে হবে, ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি ও সাধারন শিক্ষার প্রসার ও বিস্তারে জোর দিতে হবে, ধর্ষণ রোধে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে মিডিয়া, এন জি ও, সাংস্কৃতিক সংগঠনকে উৎসাহিত করতে হবে, প্রয়োজনে সরকার কর্তৃক দিক-নির্দেশনা দিতে হবে এবং বাস্তবায়নের তদারকি বৃদ্ধি করতে হবে, ধর্ষণ প্রতিরোধে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনে কঠোর আইন প্রনয়নসহ বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠনের মাধ্যমে ওপেন ট্রায়ালসহ, দ্রুত সময়ে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির ব্যবস্থা করতে হবে,

সকল জেলায় ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের শাখা খোলাসহ ভিক্টিম ও তাদের পরিবারকে পূর্ণবাসন ও কাউন্সিলিং সেবা দিতে হবে, প্রতিটি জেলা, উপজেলায় সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধুলার ব্যবস্থা, খেলার মাঠ, পাঠাগার স্থাপন, মুক্ত জ্ঞান বিজ্ঞানের বিকাশ, সাহিত্য সংস্কৃতির বই পড়ার সচেতনতাসহ সমবয়সী ছেলে মেয়েদের সুস্থ্য সামাজিক মেলামেশার সুযোগ তৈরী করতে হবে, ৫ম থেকে ৮ম শ্রেণীর সকল মাদ্রাসাসহ স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে নারীর স্বতন্ত্র মর্যাদা, শিশু ও বয়স্কদের শরীরের কোন কোন জায়গায় স্পর্শ করা অপরাধ বা এ্যাবিউজ, বা কেউ অসাধু উপায়ে স্পর্শ করলে শিশু বা ছাত্র/ছাত্রী, মাদ্রাসা বা শিক্ষা কেন্দ্রের কাকে অবহিত করবেন (একজন নারী ও একজন পুরুষ প্রতিনিধি নির্বাচন করা যেতে পারে,

 প্রতিটি শিক্ষাকেন্দ্রে বা মাদ্রাসায় অথবা জেলা/উপজেলা ভিত্তিক ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের একটি কাজ হিসাবে এটিকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে), একই সাথে শিশু বা ছাত্র-ছাত্রী তাদের শরীরে কোনও স্থানে কেউ স্পর্শ করলে পরিবারকে জানাতে হবে এবং পরিবার বা ভিক্টিম কোথায় নির্ভয়ে ন্যায় বিচার পেতে পারেন সেই বিষয়সমুহ পড়ানোসহ ধর্ষণ কি এবং তার শাস্তি কি, তা পাঠ্যপুস্তকে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সমন্বয় করেন দর্পণ এর প্রোগ্রাম অর্গানাইজার ফারহানা আক্তার।
 

এবিএন/শাকিল মোল্লা/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ