চকরিয়ায় নদীতে নিখোঁজের ১৮ ঘন্টার পর ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০১৯, ১৯:২১
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর চোরাবালিতে আটকে নিখোঁজের ১৮ ঘন্টা পর আবদুল মজিদ (১৪) নামে মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে ভেসে উঠে মজিদের মরদেহ।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার হয়। আবদুল মজিদ ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাজিয়ান ১নং ওয়ার্ড এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্র।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে মাতামুহুরী নদীর হাজিয়ান মোড় এলাকার চরে ফুটবল খেলছিল একঝাঁক কিশোর। খেলতে গিয়ে হঠাৎ বলটি নদীর পানিতে পড়ে যায়। ওই সময় ফুটবলটি আনতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ১৪ বছরের মাদ্রাসা ছাত্র আবদুল মজিদ।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১টার দিকে নিখোঁজের পর দমকল বাহিনী ও চট্টগ্রাম থেকে আসা ডুবুরী দলের সহায়তায় রাত ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত খোঁজ করেও সন্ধান মেলেনি তার। পরে দমকল বাহিনী ও ডুবুরীদল চলে যায়। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে মজিদের মরদেহ ভেসে উঠে।
চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো.সাইফুল হাসান বলেন, গতকাল শুক্রবার দুপুরে মজিদ মাতামুহুরীতে তলীয় যাওয়ার পরপরই আমরা ও চট্টগ্রাম থেকে আসা ডুবুরী দল তাকে খোঁজতে শুরু করি। আমরা রাত ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায়। পরে শনিবার সকাল ৭টা দিকে তার মরদেহ ওই স্থানে ভেসে উঠে।
তিনি আরো বলেন, মাতামুহুরী নদীর যে জায়গায় ওই কিশোরটি তলীয় যায় ওই স্থানে একাধিক গর্ত রয়েছে। যার কারণে ওইসব গর্তের কোন একটিতে সে চাপা পড়ে। অপরিকল্পিতভাবে মাতামুহুরী নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে বিভিন্ন সময় মৃত্যুও ঘটনা ঘটছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাতামুহুরী নদীর হাজিয়ান মোড়ে ক্ষেত্রপাল মন্দির পয়েন্টে শফি মেম্বার, রফিক ও আজিজের নেতৃত্বে একদল বালুদস্যু শেলো মেশিন বসিয়ে রাত-দিন বালু উত্তোলন করে আসছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদীতে সৃষ্ট গুপ্ত চোরাবালিতে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে শিশুরা।
তিনদিন পূর্বেও একই ইউনিয়নের ঘুনিয়া এলাকায় মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে ৮ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিলে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হতে পারে আরো শিশুর প্রাণ।
এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/তোহা
এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ