আজকের শিরোনাম :

আধিপত্য বিস্তারে ঘর-বাড়ি ভাংচুর, আহত ১৫

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০১৯, ১১:০৭

মাদারীপুরের বালিগ্রামের খাতিয়ালে হামলা ও ভাংচুড়ের ঘটনায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক পক্ষের হুমকিতে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর পুরুষ শুণ্য এলাকা।

মাদারীপুরের খাতিয়াল গ্রামে গত ৯ জুন বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় সাহাবুদ্দিন মোল্লার ঘরবাড়িসহ আশপাশের ১২টি ঘর বাড়ি কুপিয়ে ও লূট করে একই গ্রামের কতিপয় দুষ্কৃতিকারী।

ঘটঁনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ঘটনার দিন অতর্কিত হামলা চালিয়ে সাহাবুদ্দিন মোল্লা, খলিল মোল্লা, মোশারফ মোল্লা,গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, সাহেব আলী চৌধুরী ও কালু মোল্লার ঘরসহ ১২টি ঘর বাড়ি ভাংচুর করে শাহ আলম মাতুব্বর, বিল্লাল জমাদ্দার,আনোয়ার জমাদ্দার,মোকসেদ সরদার ও ছিরুল মল্লিকের লোকজন। এ ঘটনায় আহত হয় বিলকিস বেগম(৩০), আমিরুন বেগম(৫০), মামুন মোল্লা, দেলোয়ার ফকির(৫০)সহ অনেকে আহত হয়। পরে তাদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করতে গেলে বালিগ্রাম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন হাংলাদার ক্ষমতা প্রয়োগ করে চিকিৎসা নিতে বাধা প্রদান করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে সাহাবুদ্দিন মোল্লা ও তার বাড়ির কোন পুরুষ বাড়িতে আসলে তাদের প্রান নাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে রেখেছে। যুবতী মহিলাদের ধর্ষণের হুমকিসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

ভুক্তভোগী বিককিস বেগম বলেন, আমরা মহিলারা কি দোষ করছি, আমাদের ঘর- বাড়ী কি দোষ করছে, আমরা মহিলা বলেও আমাদের গায়ে হাত দেয়া বাদ দেয়নি, লজ্জার কথা কি বলবো বলেন।

মোশারফ বলনে, আমি ভ্যান চালিয়ে খাই, হঠাৎ করে অনেকগুলো লোক এসে আমার ঘরসহ অন্য ঘরগুলো কুপাতে থাকে, আমি ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলে দরজা খুলতে না পেরে ঘরের বাহিরে কুপিয়ে অন্যদিকে চলে যায়। আমি এর বিচার চাই।

বৃদ্ধ আবু হাওলাদার বলেন, আমি নিজের চোখে দেখছি আমার ছেলেকে কিভাবে মারধর করছে, আমি ভিক্ষা করে, পাচদুয়ারে চাইয়া খাই, আমার ঘর- দুয়ার কুপাইয়া শেষ কইরা ফেলছে। আমার ছেলেটা বদলা দিয়ে খায়, সেটাও বন্ধ করছে তাদের আত্মীয়দের দিয়ে। আমি এর বিচার চাই।

মামুন মোল্লা ওদেলোয়ার ফকির বলেন, ওরা যখন হামলা চালিয়েছে তখন আমরা বাড়ীতে অল্প কিছু লোক থাকায় আমরা ওদের সাথে না পেরে বাড়ী থেকে সরে যায়,এতে তারা আমাদের বাড়ীঘর কুপিয়ে ভাংচুর করে লুটপাট করে নিয়ে যায়,এসময় আমরা অনেকেই আহত হয়, আমার মাথায় কোপ লাগছে।

এ ব্যাপারে গিয়াস উদ্দিন হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ ঘটনা শুনেছি। আমি এর সাথে জড়িত না। আমি এখন ফরিদ পুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছি।

এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি মো. গোলাম কিবরিয়া জানান, দুই পক্ষেরই মামলা হয়েছে। পুলিশ মোতায়েন আছে। ঘটনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।

এ ব্যাপারে সার্কেল এসপি মো. বদরুল মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আর যদি পুরুষ বা মহিলাদের কেউ হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ