গোবিন্দগঞ্জে রাস্তার বেহাল অবস্থায় জনগণ দুর্ভোগে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৯, ১১:৩৭
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকায় জেলা পরিষদ ও এল.জি.ই.ডির দুটি রাস্তা বেহাল অবস্থা। শহরবাসী ও পথচারীদের সীমাহীন দুর্ভোগসহ প্রতিদিন ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা ।
গোবিন্দগঞ্জ পৌর সভা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নির্বাচিত প্রতিনিধি (পৌর চেয়ারম্যান/মেয়রগণ) সফলতার সহিত নাগরিকদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রধান করে আসছেন। কিন্তু পৌর শহরের উপর দিয়ে জেলা পরিষদ ও এল.জি.ই.ডির একাধিক রাস্তার কারণে সকল উন্নয়ন যেন ম্লান হতে যাচ্ছে।
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের থানা মোড় থেকে মহিমাগঞ্জ পর্যন্ত সড়কটি (জেলা পরিষদের রাস্তা) দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না করায় কার্পেটিং উঠে রাস্তার ইট-বালু সরে গিয়ে বড় বড় গর্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এ দিকে সচেতন মহলের অভিযোগ, জেলা পরিষদের অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ মহিমাগঞ্জ রাস্তাটির মহাসড়ক থেকে পৌর সভার কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তার দুপার্শ্বে অপরিকল্পিত বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও থানা মোড় একটি অভিজাত হোটেল/রেস্তোঁরা (মানামণি), মৌসুমী হোটেলসহ বেশ কয়েকটি রে¯েঁÍারার পঁচা-ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি এসে রাস্তাটির মূল সংযোগ স্থানে বিশাল এলাকা জুরে গর্ত ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে যেন শহরবাসীসহ হাজার হাজার পথচারীদের ভোগান্তি যেন চরমভাবে ভাবিয়ে তুলেছে।
অন্যদিকে মহাসড়কের পৌর এলাকার হীরক মোড় থেকে সরদার হাট রাস্তাটি (এল.জি.ই.ডি) এর হওয়ায় একই অবস্থায় খানাখন্দন রাস্তা দিয়ে পৌরবাসীসহ হাজার হাজার জন সাধারণ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করে থাকে । অথচ রাস্তা দুটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় দুর্ভোগ চরমে ঊঠেছে।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আতাউর রহমান সরকারের সাথে কথা বললে তিনি জানান রাস্তা দুটি এল.জি.ই.ডি ও জেলা পরিষদের হওয়ায় আমার কোন করণীয় নাই। তবে রাস্তা ২টি দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অবগত করা হয়েছে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে না পেয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান খন্দকার জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বললে তিনি জানান গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ রাস্তার জমির মালিক জেলা পরিষদ কিন্তু রাস্তার উন্নয়ন অথবা সংস্কারের দায়িত্ব এল.জি.ই.ডির। তবে খানাখন্দন ও মেরামতের জন্য জেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় এল.জি.ই.ডির প্রতিনিধিকে একাধিকবার বলা হয়েছে আবারো আগামী সভায় জোরালোভাবে জানানো হবে।
এ দিকে জেলা এল.জি.ই.ডির জেলা কর্মকর্তার সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এবিএন/তাজুল ইসলাম প্রধান/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ