আজকের শিরোনাম :

মাদারীপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষিতাসহ পরিবারের সদস্যদের মারধর করার অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৯, ১১:২১

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশ প্রথমে মামলা না নিয়ে কিশোরী ও তার স্বজনদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন কিশোরীর পরিবার। 

স্থানীয় ও সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলা লক্ষীপুর গ্রামের এক কিশোরীকে গত রবিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পাশের পাটক্ষেতে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে একই এলাকার ওয়ারেশ খানের ছেলে রাজিব খান । পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে রাজিবকে আটকে রাখে। 

এ সময় খাসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দিলে খাসেরখাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই বেল্লাল হোসেনসহ ৫ পুলিশ কিশোরীকে ও তার স্বজনদের তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং থানা নিয়ে এসআই বেলাল ও এসআই সঞ্জয়সহ একাধিক পুলিশ সদস্য ধর্ষিতার পরিবারের লোকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। 

এ সময় মান্নান মাঝি, মনির হোসেন, সাইফুল ইসলাম ও হানিফ নামে ৪ আত্মীয়কে মারধর করে পুলিশ। পুলিশ রাজিবকে উদ্ধার করে খাশেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে গেলোও পরে আবার ছেড়ে দেয়। 

পরে এই ঘটনায় গত সোমবার কালকিনি থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে মিমাংসা করে দেয়ার জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখে মেয়ের পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে গত সোমবার রাতে ধর্ষিতা কিশোরীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা। 

বিষয়টি পুলিশ সুপার জানতে পেরে তার হস্তক্ষেপে রাতেই কালকিনি থানায় মামলা হয়। কিশোরীর পরিবারের দাবি পুলিশের হুমকিতে রাতেই মাদারীপুর সদর হাসপাতালে থেকে কিশোরীকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত আসামি। অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধেও নেয়া হয়নি ব্যবস্থা। ধর্ষিতা কিশোরী স্থানীয় একটি হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।

স্কুল ছাত্রী কিশোরী বলেন পুলিশ আমাকে চর থাপ্পর দিয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশ আমার আত্মীয়-স্বজনদেরও মারধর করেছে। আমি ধর্ষক রাজিব এবং আমার ও পরিবারের সদস্যদের ওপর অত্যাচার করা পুলিশের বিচার চাই। 

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ডাক্তার মো. রিয়াদ মাহমুদ বলেন এক কিশোরী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমরা তাকে চিকিৎসা দিতেছি। সে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। 

তবে অভিযোগের ব্যাপারে খাসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই বেল্লাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। 

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা দাবি করেছেন, পুলিশের নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়। 

তিনি আরো বলেন ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এবিএন/সাব্বির হোসাইন আজিজ/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ