আজকের শিরোনাম :

কালিগঞ্জে মসজিদ কমিটির সভাপতির হাতে ইমাম লাঞ্চিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০১৯, ১৯:৪১

মসজিদ কমিটির সভাপতি কর্তৃক মসজিদের পেশ ইমামকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বাগনলতা দরগাবাড়ি জামে মসজিদে এঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে যেয়ে মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি ও নলতা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আরশাদ আলী, মসজিদ কমিটি সদস্য এমদাদুল হক কারিকর, নওশের আলী কারিকর, জামশেদ আলম এবং মসজিদে এতেকাফকরা বাগ নলতা গ্রামের কামাল উদ্দিন কারিকরের পুত্র আহাদ আলী (৭৫), মান্দার কারিকরের পুত্র মহাসিন আলী (৭২) শহর আলী কারিকরের পুত্র ইয়াসিন আলী (৬৯) সহ মুসুল্লিারা জানান, গত ২৮ রমাজান ইফতারীদাতার নাম ঘোষনা করার সময় একটি নাম বাদ পড়ে যায়।

 পরে মসজিদ কমিটির সভাপতি আওরঙ্গজেব এসে ইমাম বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তার হাফেজ মাওঃ সিদ্দিকুর রহমানকে নাম বাদ পড়ার বিষয়ে জিঙ্গাসা করেন। এসময় ইমাম সিদ্দিকুর রহমান ভুল হয়েছে স্বিকার করে পরে আবার বলে দেবেন বলে জানান।

কিন্তু সভাপতি আওরঙ্গজেব ইমামকে বিয়াদব বললে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সভাপতি ইমামকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজসহ জুতা পেটা করতে উদ্ব্যত হন। অপমান সহ্য না করতে পেরে ইমাম চলে যেতে বাধ্য হন। মসজিদে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থাকলেও সভাপতি প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেন না বলেও তারা জানান। লাঞ্চিত হাফেজ মাওঃ মাওঃ সিদ্দিকুর রহমান ঘটনার বর্ণনা দিতে যেয়ে কেঁদে ফেলেন এবং বলেন, আমি সঠিক বিচার পাইনি তাই আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি।

এবং মুসুল্লিদের পরামর্শ মতে ২৯ রমজানে তারাবির নামাজের পরে চলে আসি। মসজিদের মুসুল্লিরা সভাপতির পদত্যাগসহ পুনরায় কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামসুর রহমান পাড় জানান, আমি অসুস্থ্য থাকায় দীর্ঘদিন মসজিদে যেতে পারিনা। ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। বিষয়টি পরে শুনেছি এবং তা দ্রুত নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করবো। তবে সভাপতির একটু মুখ দোষ আছে। সে অশ্লিল ভাষা ব্যবহার করেন। তার কারনে মসজিদে ইমাম ও মুয়াজ্জিন থাকতে চায়না। সভাপতি আওরঙ্গজেব জুতা পেটা করতে যাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ঐ ইমাম বিয়াদব। সে কথা শোনেনা তাই তার সাথে ঝামেলা হয়েছিলো।

 

এবিএন/রফিকুল ইসলাম/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ