নরসিংদীতে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ গ্রেফতার ৬
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জুন ২০১৯, ১৩:৩৫
নরসিংদীর পলাশে পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. রাজন মিয়াসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার বিকেলে তাদেরকে নরসিংদীর আদালতে নেওয়া হলে সবাইকে জেল-হাজতে পাঠানো হয়।
এই ঘটনায় গত শনিবার রাতেই চরসিন্দুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাস বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় মামলা করেন।
গত শনিবার দিবাগত রাতেই পলাশ থানার পুলিশ প্রত্যেকের নিজ নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তারকৃত অন্য ৫ জন হলেন, পলাশের চরসিন্দুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সুমন, আবু সাঈদ ভূঁইয়ার ছেলে শফিকুল ভূঁইয়া, মোবারক মোল্লার ছেলে রহিম মোল্লা, কাজল মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া ও হানিফ মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, চরসিন্দুরে নব-নির্মিত সেতুতে গত শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাপাসিয়া ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী সময় কাটাতে আসেন। সে সময় চরসিন্দুরের স্থানীয় একদল ছেলের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।
ঘটনাটি অনেক দূর গড়িয়ে যাচ্ছে দেখে কাপাসিয়ার ছাত্রলীগের একজন পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. রাজন মিয়াকে ঘটনাটি জানান ও সাহায্য চান। এ দিকে চরসিন্দুরের স্থানীয় ছেলেরা ক্যাম্প পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ আসার আগেই রাজন ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় এক যুবককে চর-থাপ্পড় মেরে দুইপক্ষের ঝামেলা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় চরসিন্দুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাস সঙ্গীয় ফোর্স এসে লাঠিচার্জ শুরু করেন। ওই সময় রাজনের শরীরেও কয়েকটি লাঠির আঘাত লাগে। এই ঘটনায় রাজনের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও পুলিশের অন্তত ১০ জন আহত হন।
চরসিন্দুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাস জানান গত শনিবার রাতে চরসিন্দুর ব্রিজে এক ছেলেকে মারধর করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই আমরা। গিয়ে মারধর করতে দেখে আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু রাজনের নেতৃত্বে উৎশৃঙ্খল ছেলেরা ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশের ওপর চড়াও হয়।
এই ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারপরই পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ জানান পুলিশের সাথে সামান্য ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু পুলিশ বিষয়টিকে বড় করে তুলেছে।
পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ জানান পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়ায় রাজন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় তাদের ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এবিএন/সুমন রায়/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ