পেকুয়ায় গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জুন ২০১৯, ১২:৩২
কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক গার্মেন্টস কর্মীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মো. উসমান গণি নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার (৯ জুন) বিকেলে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বদি উদ্দীন পাড়া থেকে পেকুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াকুবুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে আটক করে। আটক উসমান গণি একই এলাকার মৃত শফি আলমের ছেলে।
পেকুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইয়াকুবুল ইসলাম বলেন, ওই গার্মেন্টস কর্মী ১০-১২ দিন আগে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন।
গত শুক্রবার বিকেলে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে তাকে কৌশলে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নেয় উসমান গণি। সিএনজি অটোরিকশায়যোগে তাকে একই ইউনিয়নের পালাকাটা এলাকার নির্জন এলাকায় লবণ মাঠের একটি টং ঘরে আটকে রাখে উসমান গণি। সেখানে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ওই গার্মেন্টস কর্মীকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক উপর্যপরি ধর্ষণ করে সে। পরে ওই গার্মেন্টস কর্মীর আত্মচিৎকারে পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা এগিয়ে আসলে ধর্ষক উসমান গণি পালিয়ে যায়। এমন অভিযোগ নিয়ে ওই যুবতী থানায় আসলে আমরা অভিযুক্ত উসমানকে আটক করি।
এ দিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ধর্ষণের শিকার বলে দাবি করা ওই যুবতী মানসিক বিকারগ্রস্ত। তাকে পাগল হিসেবে চেনে এলাকাবাসী। তাকে মানসিক রোগের চিকিৎসাও করাচ্ছে তার পরিবার।
আটক যুবক উসমান গণির ভাই রমিজ উদ্দিন বলেন, আমার ভাই অত্যন্ত সহজসরল ব্যক্তি। তিনি পেশায় লবণ চাষী। অত্যন্ত পরিশ্রম করে তিনি ঘরসংসার চালায়। সম্প্রতি তার বিয়ের জন্য আমার পরিবার থেকে পাত্রী খোঁজ করা হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল আমার পরিবার ও আমার মামা রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ নূরের সম্মানহানি করতে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত মেয়েকে দিয়ে এ কান্ড ঘটিয়েছে। আমার ভাই নির্দোষ। তিনি অবিচারের শিকার। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি করছি।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মী থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলে মামলা রুজু করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত উসমান গণিকে আটক করে। আজ সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট আসলে জানা যাবে অভিযুক্ত যুবক দোষী নাকি নির্দোষ। এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/গালিব/জসিম
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মী থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলে মামলা রুজু করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত উসমান গণিকে আটক করে। আজ সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট আসলে জানা যাবে অভিযুক্ত যুবক দোষী নাকি নির্দোষ। এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ