তিতাসে আওয়ামী লীগ নেতার উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০১৯, ১৬:৩৯
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংঘটনিক সম্পাদক মো. আলম সরকারের উপর অতর্কিত হামলা করেছে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা এমন অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতা আলম ।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৭টায় উপজেলার দক্ষিন আকালিয়া সিকদার বাড়িতে। পরে রাত ১০টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন ভূইয়া ও তিতাস থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থল থেকে রক্তাত্ব অবস্থায় আহত আলমকে উদ্ধার করে তিতাস স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা কলেজ মেডিকেল প্রেরণ করে। আলম বর্তানে ঢাকা কলেজ মেডিকেল চিকিৎসাধীন আছে।
দলীয় সুত্রে জানা যায় ৩০ শে মার্চ চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের দিন মাছিমপুর আর আর ইনিস্টটিউশন কেন্দ্রে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরহাদ আহম্মদ ফকিরের উপর আলম সরকারের লোকজন হামলা করে ছিল,তারই জেরধরে কাল আলমের উপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ।
এবিয়ে আলমের স্ত্রী সাবিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী পারভেজ ভাইয়ের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারভেজ ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছে আলম। এসময় ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদের নেতৃত্বে আমার স্বামীর উপর হামলা করেছে। এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সোহেল সিকদারের পক্ষে নির্বাচন করায়,আমার স্বামীর হাত-পা ভেঙ্গে ফেলাসহ চুখ উপরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে ফরাদ। সাবিনা তার স্বামীর উপর হামলা কারীদের চিহ্নত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় এমপি, স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ কেন্ত্রীয় নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ আহম্মদ ফকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি এমপি মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করে এবং ওসিকে ফোন দিয়ে এনে আলমকে উদ্ধার করেছি। তবে ছাত্রলীগের কোনো কর্মী এ ঘটনার সাথে জরিত না। পারভেজ হোসেন সরকার সাংবাদিকদের বলেন মেহমান নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম এমন সময় জানতে পারি আলম ভাই আসছে, আমি যেয়ে ওনার সাথে কুশল বিনিময় করি করে মেহমানদের ওখানে চলে যাই। কিছুক্ষন পর শুনতে পাই আলম ভাইকে কে বা কারা মারতেছে শুনে দ্রুত ঘটনা স্থরে এসে তাকে উদ্ধার করি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন ভাই ও ওসিকে ডেকে এনে ওনাদের হাতে তুলে দেই। তবে বিষয়টি পূর্ব শত্রুতার জের বলে মনে হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিন ভূইয়া বলেন খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে আলমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি এবং আমাদের এমপি মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে ওনি এলাকায় আসলে আলোচনা করে যে কোনো সিদ্বান্ত নেয়া হবে।
এবিএন/কবির হোসেন/জসিম/তোহা
এবিএন/কবির হোসেন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ