আজকের শিরোনাম :

ভালুকায় দুই ওসির মানবতায় রক্ষা পেল নারী ও নবজাতক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০১৯, ১৫:৫৩

ভালুকা উপজেলার বহুলী গ্রামের সোহাগ মিয়ার বাড়ীর বারান্দায় গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক  নারী ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম রাত ১২ টার দিকে মা ও নবজাতককে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন ।

জানা যায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর উপজেলার বহুলী গ্রামের সোহাগের বাড়ির বাহিরের দিকের বারান্দায় ২০ বছরের এক নারী প্রসবের ব্যাথায় ছটফট করতে থাকেন। এই বিষয়টি তাসলিমার মা বিলকিছ বেগম টের পান। পরে কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিলকিছ বেগমের মাধ্যমে ওই নারী এক ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এরপর ওই নারীর নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হলেও তিনি কোন প্রশ্নের উত্তর দেননি।

 পরে এই ঘটনাটি তাসলিমা আক্তার মোঠো ফোনে ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলামকে জানান। মাজহারুল ইসলাম ওই নারী ও নবজাতককে উদ্ধারের জন্য ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ভালুকা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  একজন চিকিৎসকসহ অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহযোগিতা চান । ৩ ঘন্টা পর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইউএনও কে জানান, হাসপাতালের এক মাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট । এর আগে বিষয়টি ভালুকা ফায়ার সার্ভিসকেও অবগত করা হয়েছিল। পরে রাত ১০টার দিকে তাসলিমা আবার মোঠো ফোনে মাজহারুল ইসলামকে জানান, ওই নারীর ব্যাপক রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে নবজাতকও তেমন নরাচড়া করছে না।

সঙ্গে সঙ্গে মাজহার একটি নোয়া গাড়ি ভাড়া করে রাত ১২ টার দিকে নবজাতকসহ মাকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।এই খবর পেয়ে রাতেই ছুটে যান ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন।পরে তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ওই নারী ও নবজাতকের সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত চিকিৎসাসহ সব ধরনের ব্যয়ভার বহন করবেন বলে জানান ওসি মাইন উদ্দিন।

ভালুকা মডেল থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম জানান, নবজাতকসহ তাঁর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই নারী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। নাম-ঠিকানা কিছুই জানা যায়নি।নারী ও সন্তানের সেবার জন্য টাকা দিয়ে একজন আয়া রাখা হয়েছে। ওসি স্যার নারী ও নবজাতকের আনুষাঙ্গিক ও চিকিৎসার ব্যয় ভারের দায়িত্ব নিয়েছেন।

এই বিষয়ে জানার জন্য ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একরাম উল্লার মোবাইলের সরকারী নম্বরে একাদিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামাল জানান, ওই নারী ও নবজাতকের বিষয়টি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কে অবগত করা হলেও তাৎক্ষণিক ভাবে তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
 

এবিএন/জাহিদুল ইসলাম/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ