আজকের শিরোনাম :

ডোমারে কাউন্সিলরের দাপট

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০১৮, ১৩:০৭

নীলফামারী, ০৭ জুন, এবিনিউজ : জেলার ডোমার পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরে মিজানুর রহমান তুলুর বিরুদ্ধে নিজ ওয়ার্ডেই পুকুর দখলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে পুকুর দখলের চেষ্টা ব্যার্থ হলে তিনি রেলওয়ের ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে পুকুরের সামনের অংশটি তার চাচার নামে রয়েছে বলে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বেড়াচ্ছেন।

প্রায় দুই বছর আগে মৃত্যুবরনকারী রেলওয়ের আমিনের স্বাক্ষর জালকরে ভুয়া কাগজ তৈরিরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।উপজেলার পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ড ষ্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগে জানা যায়, ডোমার উপজেলায় বাংলাদেশ রেলওয়ের ১২টি পুকুর/জলাশয় রয়েছে। এর মধ্যে ২টি পুকুর স্থানীয় ডা. মো. ফিরোজ আলম চিনুর স্ত্রী তাইবুন নাহারের নামে লীজ রয়েছে।

১৯৭৮ সাল থেকে এই দুইটি পুকুর ডা. ফিরোজ আলম চিনু লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। চলতি লীজও তার স্ত্রীর নামে রয়েছে। বর্তমানে উক্ত পুকুর দুইটিতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ ও একলক্ষ টাকা সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করা হয়েছে। এই পুকুর দুইটির উপর লোভ পরে স্থানীয় কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমান তুলুর।

গত ৭মে দুপুরে সৌরভসহ কতিপয় ব্যাক্তিদের নিয়ে কাউন্সিলর তুলু পুকুরের সামনের মাটির অংশে জোর পুর্বক ঘড় তৈরি করার চেষ্টা করলে তাইবুণ নাহারের স্বামী ফিরোজ আলম চিনু তাদের ঘড় নির্মানে বাধা প্রদান করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসতে থাকলে তুলুসহ তার লোকজন ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।

পরবর্তিতে গত ১২ মে কাউন্সিলর তুলু আবারো কিছুব্যাক্তিদের সাথে করে সকালে উক্ত পুকুরের সামনের অংশে ঘড় নির্মাণের চেষ্টা চালালে তাইবুন রাহারের বাড়ির লোকজন তাদের বাধা প্রদান করলে তারা অস্ত্রের ভয়ভীতিসহ পুকুরের সামনের কাটাতার কেটে ও ১৫টি সিমেন্টের পিলার ভাংচুর করে।

এ সময় তাইবুন নাহারের স্বামী চিনু পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশকে ঘটনাস্থলে আসতে দেখে তারা পালিয়ে যায়। এর কয়েকদিন পর গত ১৬ মে কাউন্সিলর তুলু ও সৌরভের নেতৃত্বে ১৪/১৫জন ব্যাক্তি দলবদ্ধভাবে এসে জোড়পুর্বক পুকুরের সামনে বাশের খুটি দাড়া ঘড় উত্তোলনের আবারো চেষ্টা চালায়।

পুকুর দখল করার চেষ্টার খবরটি তাইবুন নাহারের বাড়ির লোকজন বুঝতে পেয়ে তারা ঘটস্থলে এসে তুলুদের বাধাদিয়ে পুকুর দখল করার কারণ কি জানতে চাইলে তারা অশ্লীল ভাষায় তাদের গালিগালাজসহ বাড়ির লোকদের মারপিট করার উদ্যত হয় ও ফিরোজ আলমকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। অবস্থা বেগতিক দেখে ফিরোজ আলম চিনু পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসতে দেখে তারা পালিয়ে যায়।

ডা. ফিরোজ আলম চিনু বলেন, ভাবতেই অবাক লাগে আমাদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হয়ে তুলু কিভাবে আমাদের লীজকৃত পুকুর দখলের চেষ্টা চালায় তা আমার কল্পনাতেই আসেনি। রক্ষক হয়ে সে ভক্ষণের চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, কাউন্সিলর তুলু কয়েকদিন থেকেই স্থানীয় কতিপয় লোকের শলাপরামর্শে আমাদের লীজকৃত পুকুরটি ভারাটিয়া লোকদের নিয়ে আবারো দখল করার চেষ্টা করতে পারে।তিনি বলেন তুলু বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকিসহ আমার কাছে মোটা অংকের অর্থ দাবি করেছিলো। টাকা না দেওয়ায় আমারস্ত্রীর নামে লীজকৃত পুকুর দুইটি দখলের চেষ্টা চালায় সে।

এ ব্যাপারে কাউন্সিলর তুলু জানান, তার চাচা আবু তালেবের নামে পুকুরের সামনের অংশটি রয়েছে। তাই সেই জায়গাটি আমরা দখলে রেখেছি।

ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদ আলী জানান, খবর পেয়ে আমরা তুলুকে পুকুর দখলে বাধা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে আসতে বলেছি। ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো পক্ষই কাগজ নিয়ে আসেনি।

এবিএন/মোশারফ হোসেন/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ