রাঙামাটিতে জেএসএস ‘কর্মীকে’ গুলি করে হত্যা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ মে ২০১৯, ১৪:৫৪
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে স্নেহাশীষ চাকমা নামের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-এমএন লারমা) এক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের ইয়ারিংছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জেএসএস (এমএন লারমা) উপজেলা সভাপতি অলঙ্গ চাকমা বলেন, সাংগঠনিক কাজে লংগদুতে আসেন স্নেহাশীষ কুমার চাকমা। গতকাল রাত ১২টার কিছু আগে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ইয়ারিংছড়ি গ্রামে তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
অলঙ্গ চাকমা এ ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস ও প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেন। যদিও জেএসএস (সন্তু লারমা) তা অস্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে ইউপিডিএফের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হত্যার দায় অস্বীকার করে জেএসএস (সন্তু লারমা) লংগদু উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সংস্কারপন্থীরা (জেএসএস-এমএন লারমা) আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জন কুমার সামন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামিদের ধরতে অভিযানও চলছে।
১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির মাধ্যমে শেষ হয় দুই যুগের সশস্ত্র লড়াই। প্রায় দুই হাজার সশস্ত্র গেরিলা সন্তু লারমার নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। চুক্তির মাধ্যমে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান হন সন্তু লারমা। কিন্তু চুক্তির বিরোধিতা করে প্রসীত খীসা-সঞ্চয় চাকমা ও দীপায়ন খীসার নেতৃত্বে গঠিত হয় চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ। দুই পক্ষের বিরোধে ১৯৯৭ থেকে প্রায় প্রতি মাসে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ