আজকের শিরোনাম :

ঈশ্বরদীতে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০১৯, ১২:৩৪

ঈশ্বরদীতে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের ৩ সদস্যকে  গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

গতকাল বুধবার (২৯ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে ঈশ্বরদী খায়রুজ্জামান বাস টার্মিনাল তাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে আটককৃত তিন জন আর্ন্তজাতিক মানবপাচার চক্রের সদস্য। এ সময় তাদের কাছ থেকে আয়েশাকে (১৭) উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আর্ন্তজাতিক মানব পাচারকারী চক্রের ভারত-বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়কারী জয়িতা মান্না ওরফে পিউ ওরফে খাদিজা (৩৫), সানন্দা বিশ্বাস (২৭) ও বিশ্বজিৎ (৩২) টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি গ্রামের ব্যবসায়ী আখতারুজ্জামানের মেয়ে আয়েশাকে (১৭) পাচারের উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী হয়ে ভারত নিয়ে যাচ্ছে। 

টাঙ্গাইলের গোপালপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খোসরু ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকীকে এমনটিই জানান। 

এ সংবাদ পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ অভিযানে নামে। এক পর্যায়ে বাস টার্মিনালে তিন জনকে আটক এবং তাদের কাছ থেকে আয়েশাকে উদ্ধার করে।

আটক জয়ীতা ভারতের কলকাতার বোসপুকুর পূর্ব পাড়ায় বসবাস করেন। তার স্বামীর নাম সুমন্ত মান্না। সানন্দার বাবার নাম মহানন্দ বিশ্বাস। তিনি কলকাতার এইচআইজিএল ১/১ বিরাটি হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা এবং বিশ্বজিৎ ঈশ্বরদী স্কুলপাড়ার মৃত সুনিলের ছেলে।

ঈশ্বরদী থানায় উদ্ধারকৃত আয়েশা জানায়, প্রতিবেশী কবিরাজ আব্দুস ছাত্তারের বাড়িতে সম্প্রতি জয়িতার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। জয়িতা এক পর্যায়ে আয়েশাকে কলকাতায় নায়িকা এবং মডেল বানানো এবং মোটা অংকের টাকা রোজগারের ব্যবস্থা করে দেয়ার লোভ দেখায়। আয়েশা তার কথায় প্রলুব্ধ হয়ে গোপনে তার সঙ্গে ভারতের উদ্দেশ্যে গত ২৮ মে টাঙ্গাইল থেকে রওনা দেয়। ঈশ্বরদী এসে বিশ্বজিতের বাড়িতে রাত্রী যাপন করে তারা।

উদ্ধার হওয়া কিশোরী ও আটককৃত পাচারকারী সদস্যদের বরাত দিয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পাচারকারী চক্রটি ওই কিশোরীকে ফ্যাশন ডিজাইনার বানানোর প্রলোভন দিয়ে কলকাতায় পাচারের উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইল থেকে ঈশ্বরদীতে আনা হয়।

ওসি আরো জানান, তারা প্রথমে শহরের ঈশ্বরদীর স্কুলপাড়ার মৃত সুনীল দাশের ছেলে বিশ্বজিৎ দাশের বাড়িতে উঠেন। সারাদিন লালপুর, নাটোরসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেন। রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাস টার্মিনাল থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে দাবি করেন ওসি।

এ দিকে রাতেই ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ভিকটিম ও আসামিদের গোপালপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। 

এ ব্যাপারে গোপালপুর থানায় প্রথমে জিডি এবং পরে মামলা করা হয়েছে। আয়েশাকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

এবিএন/গোপাল অধিকারি/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ