আজকের শিরোনাম :

ঈশ্বরদীতে সাকিব হত্যাকন্ডের রহস্য উদঘাটিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০১৯, ১২:১০

ঈশ্বরদীতে সাকিব হোসেন (২১) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মামীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয় সাকিবকে। 

গতকাল সোমবার সকালে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ চাঞ্চল্যকর সাকিব হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চকনারিচা বাগবাড়িয়া গ্রামের মিলনের স্ত্রী বিলকিস আকতার বানু (৩৮) ও ছেলে বিপ্লব হোসেন (১৮)।

গতকাল সোমবার রাতে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ২৫ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ঈশ্বরদীর চকনারিচা বাগবাড়িয়া গ্রামের আলমগীরের ছেলে সাকিব হোসেন সিগারেট কিনতে বাইরে যাওয়ার অজুহাতে মামা মিলনের বাড়িতে যায়।

মামা বাড়িতে না থাকার সুযোগে সাকিব মামী বিলকিস আকতারকে ডাক দেন। এ সময় বিলকিস দরজা খোলা মাত্রই ভেতরে ঢুকে সাকিব তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় সাকিব শক্তি প্রয়োগ করে। এ সময় দুজনের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বিলকিস তার ছেলেকে ডাক দেন। মায়ের বিপদ অনুমান করে বিপ্লব আরও ৪/৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে মায়ের ঘরে যায় এবং সাকিবকে ধরে ফেলে।

পরে সবাই মিলে বালিশচাপা দিয়ে সাকিবকে হত্যা করে জনৈক সাখাওয়াতের বাড়ির পাশে মরদেহ ফেলে রেখে ভোরের দিকে পালিয়ে যায়। মরদেহ দেখে সকালে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ওইদিনই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সাকিব প্রায়ই বিলকিসকে কুপ্রস্তাব দিতো বলে জানা গেছে।

ওসি আরও জানান, ঘটনার পর পুলিশের একটি দল রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তারে তৎপর হয়ে ওঠে। অবশেষে ৭২ ঘণ্টা পার না হতেই মূল আসামি মা-ছেলেকে গতকাল সোমবার শহরের অরণকোলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা পুলিশ ও আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করে। 

এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

এবিএন/গোপাল অধিকারী/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ