আজকের শিরোনাম :

কালিগঞ্জে মোবাইল কিনে না দেওয়ায় মেয়ের আত্মহত্যা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ মে ২০১৯, ১২:০৪

বাবা শহীদুল ইসলামের পৈতৃক বাড়ি ছিল সাতক্ষীরা সদরের কাথণ্ডা গ্রামে। প্রায় ১৯ বছর আড়ে কালিগঞ্জের নলতা ইউনিয়নের মাঘুরালী গ্রামের কামালউদ্দিন সরদারের মেয়ে হাফিজাকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ি থেকে পাওয়া এক টুকরা জমিতে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেন। দিন মজুর খেটেই চলতো তাদের সংসার। 

বর্তমানে শারমিন সুলতানা (১৬) ও নাহিদ নামে ২ সন্তান তাদের। ১৯১৭ সালে নলতা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনা করাকালিন অভাবের কারণে আর পড়তে পারেনি শারমিন। অভাবের পরও বাবাকে বলে অন লাইনে ২ ভাই বোনের জন্য দুটি মোবাইল ফোন ২০০ টাকায় বুক করায় শারমিন। অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করে মোবাইল ফোন নেওয়ার লক্ষে ছেলে নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে গত রবিবার সাতক্ষীরার একটি পার্সেল কাউণ্টারে আসেন শহীদুল ইসলাম। পার্সেল খুলে তার মধ্যে কিছু পিয়াজ, রসুন ও আদা দেখতে পান। নিরুপায় হয়ে ছেলের জন্য একটি মোবাইল কিনে মেয়েকে পরে দেবেন বলে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন শহীদুল। ছোট ভাইকে মোবাইল দিয়েছে মেয়ে বলে তাকে দেয়নি বলে অভিমান করে শারমিন। 

একপর্যায়ে গত রবিবার রাত ১০টার দিকে সবার অজান্তে নিজের ঘরে দরজা দিয়ে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলে পড়ে। তার গোঙানীতে মা ও ভাই দরজা ভেঙে শারমিনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাকে নলতা হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্তর‌্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

গতকাল সোমবার বাদ যোহর স্থানীয় মসজিদে নামাজে জানাযা শেষ পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানায় একাটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এবিএন/রফিকুল ইসলাম/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ