আজকের শিরোনাম :

ধুনট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জনবল সংকটে লোডশেডিং চরমে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ মে ২০১৯, ২০:২৬

একদিকে তীব্র তাপদাহ। অন্যদিকে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং। এরমাঝে ঝড়-বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুতের দেখা মেলে না। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন যাবত অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলাবাসী। তবে ধুনট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জনবল সংকটে এ ভোগান্তি আরো বেড়ে গেছে।
 
জানাগেছে, ধুনট উপজেলায় ২০১২ সালে ধুনট পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার থাকলেও ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ৫৪ হাজার ৪৩৬ জন। এদিকে দিন দিন গ্রাহক সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের জনবল। অল্প সংখ্যক জনবল দিয়েই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তন্মধ্যে অধিকাংশ পদই শূণ্য রয়েছে।

একারনে ঝড়-বৃষ্টিতে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে গেলে বা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সমস্যা খুঁজে পেতে এবং তা মেরামত করতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লেগে যায়। ইতিমধ্যেই লোডশেডিং এর কবলে পড়ে বিভিন্ন কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিঘিœত হচ্ছে। এছাড়া বাসাবাড়ীর ফ্রিজে রক্ষিত খাবারগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তীব্র তাপদাহ ও অসহনীয় লোডশেডিং এ রোজাদার ও শ্রমজীবি সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের কষ্ট আরো বেড়ে গেছে।  

ধুনট পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, এই অফিসে লাইন টেকনিশিয়ান ও লাইনক্রু পদে ১৬ জন থাকার কথা থাকলেও মাত্র ১৩ জনকে দিয়েই ধুনট উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ২০০টি গ্রামের ৫৪ হাজার ৪৩৬জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। জনবল সংকটের কারনে বিদ্যুৎ সংযোগে কোন ত্রুটি দেখা দিলে তা তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা নিতে পারে না বিদ্যুৎ অফিস।

চৌকিবাড়ী গ্রামের ভ্যান চালক ছানোয়ার হোসেন জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় ঝড়ের পর থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। একারনে ভ্যান চার্জ দিতে না পারায় গত তিন দিন যাবত পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।

ধুনট পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের এজিএম বিজয় কুন্ডু বলেন, ঝড়ের কারনে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জনবল সংকটের কারনে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ অফিসের সরঞ্জামাদি ও জনবল সংকটের কারনেই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এসব বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
 

এবিএন/ইমরান হোসেন ইমন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ