আজকের শিরোনাম :

তিতাসে ইভটিজিংয়ের অভিযোগে মাদকাসক্ত যুবক আটক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ মে ২০১৯, ১৩:২৩

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ইভটিজিং করার অভিযোগে মাদকাসক্ত এক যুবককে অস্ত্রের মূখে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৩৬ ঘন্টা পর চুরির মামলায় কোর্টে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সেম্ভপুর গ্রামে। 

আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামের হোসেন সরকারের ছেলে মাদকাসক্ত রাসেল (২৫) একই গ্রামের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে প্রতিনিয়ত স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্তাক্ত করে। 

এই অভিযোগে একই উপজেলার খলিলাবাদ গ্রাম থেকে ছাত্রীর আত্মীয়রা গত বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১০টায় ৫টি সিএনজি দিয়ে প্রায় ২০/২৫ জন লোক এসে রাসেলকে জমি থেকে অস্ত্রের মূখে এবং মারতে মারতে তুলে নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যন আবুল হোসেন মোল্লার অফিসে নিয়ে যায়।  রাসেলের স্ত্রী, মেয়ে, তার বাবা ও প্রতিবেশী নরুল ইসলামসহ একাধীক নারী অভিযোগ করে বলেন খলিলাবাদ গ্রাম থেকে ২০/২৫ জন লোক এসে রাসেলকে বাড়ির পাশে জমি থেকে অস্ত্রের মূখে তুলে নিয়ে মারতে মারতে আবু চেয়ারম্যানের অফিসে নিয়ে যায়, ওই খান থেকে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায় এবং গত শনিবার সকালে একটি চুরির মামলায় রাসেলকে কোর্টে প্রেরণ করেছে বলে তারা জানতে পায়। 

এ বিষয়ে রাসেলের বাবা হোসেন সরকার বলেন, তাহার ছেলে রাসেল বেশ কয়েক দিনে ধরে উল্টা পাল্টা কথা বলে আসছে এবং মানুষের সাথেও খারাপ ব্যবহার করে। এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে ডেকে বিচার দিয়েছে। তাই আমি গত বুধবার বিকালে থানায় গিয়ে ছিলাম তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিবো বলে কিন্তু পুলিশ অনেক টাকা চাওয়ায় আমি চলে আসি । কিন্তু খলিলাবাদ গ্রাম থেকে লোকজন এসে আমার ছেলেকে অস্ত্র ধরে মারতে মারতে নিয়ে যায়। 

এ বিষয়ে নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন বলেন, রাসেল একজন বখাটে সে ইয়াবা সেবনকারী এবং ওই গ্রামের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী আমার নিকটতম আত্মীয় হয়, তাকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্তাক্ত করে একাধিক বার বিচার দিয়েও কোন বিচার পায়নি ছাত্রীর পরিবার। ঘটনার আগের দিন ছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে খোব ভয়ভীতি দেখায় এবং ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে এবং রাতে খড়ের স্তুপে আগুন লাগিয়ে দেয়, বিষয়টি আমি জানতে পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি ও ভিটিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যন আবুল হোসেন মোল্লাকে জানাই এবং মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায়ও বিষয়টি উপস্থাপন করি। সেদিনই আমার গ্রামের কিছু পোলা পাইন গিয়ে তাকে ধরে এনে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু মোল্লার অফিসে নিয়ে দিয়ে আসে, তখন আমি ও আবু মোল্লা সমন্বয় সভায় ছিলাম খবর পেয়ে ওসি সাহেবকে জানালে ওসি সাহেব পুলিশ পাঠিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। আমরা চেয়ে ছিলাম রাসেলের পরিবারের লোকজন এসে তাকে নিয়ে যাক কিন্ত কেউ না আসায় আমরা চলে আসি। তবে অস্ত্রের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং তাকে কোন রকম মারধর করেনি। 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা বলেন, রাসেল একজন ঊশৃঙ্খল এবং নেশাখোর সে ওই গ্রামের এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে প্রায় সময় ইভটিজিং করে বলে আমি শুনেছি এবং ওই ছাত্রীর বাড়ীর খড়ের স্তুপে আগুন লাগিয়েছে বলে সলাহ উদ্দিন চেয়ারম্যান জানিয়েছে। 

এ ঘটনায় সালাহ উদ্দিন চেয়ারম্যান লোকজন বখাটেকে ধরে  আমার অফিসে নিয়ে আসলে আমি তার বাবা মাকে খবর দেই বিচার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু তারা না আসায় আমি তিতাস থানায় খবর দিয়ে পুলিশের হাতে তোলে দেই। তবে অস্ত্রে কথাটি সম্পূর্ন মিথ্যা।

এবিএন/কবির হোসেন/গালিব/জসিম


               
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ