আজকের শিরোনাম :

রুমায় সেতু নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাতের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০১৮, ১৬:৩৫

রুমা (বান্দরবান), ০৬ জুন, এবিনিউজ : বান্দরবানের রুমা উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এর আওতায় ময়ুর পাড়া সড়কে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে। সেতুটির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কয়েক বছরের মধ্যেই ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা। 

বিগত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বাজেটে অনুমোদিত সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালের ১৮ জুন সম্পন্ন করার কথা থাকলেও সম্পন্ন হয়েছে চলতি বছরের মে মাসে (আংশিক অসম্পন্ন)। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয়েছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেতুটির প্লাস্টার করা হয়েছে যাচ্ছেতাই ভাবে, খালি হাতে লেপটে করা প্লাস্টারের কাজ এবড়োথেবেড়ো হয়ে আছে। সেতুটির দুই পাশে সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করার ফলে গর্ত তৈরি হওয়ায় পানি জমে ব্যবহারের একেবারে অনুপোযোগী এবং কার্যত পরত্যিক্ত হয়ে পড়েছে। সেতু নির্মাণে বোল্ডার পাথরের কংকর ব্যবহারের কথা থাকলেও ব্যবহার করা হয়েছে ভঙ্গুর পাথরের রাবিশযুক্ত কংকর। 

এছাড়া ঢালাইয়ে পর্যাপ্ত সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি, বালিও ব্যবহার করা হয়েছে স্থানীয় এবং অত্যন্ত নিম্নমানের বালি। প্রকল্প এলাকা সংলগ্ন বটতলী পাড়ার স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, মাটি মিশ্রিত ও পরিত্যক্ত ইটের কংকর, মাটি মিশ্রিত বালি, নিম্নমানের রড ও সিমেন্ট দিয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটির বেইজ ঢালাইয়ের কাজটিতেও রয়েছে ব্যাপক নিয়মের ব্যত্যয়, প্রাক্কলিত নিয়ম মোতাবেক বেইজ ঢালাইয়ের জন্য খনন কৃত গর্তে ৬ ইঞ্চি পুরু বালির স্তরের উপর ইট বিছানো তার উপরে ৩ ইঞ্চি সিসি ঢালাইয়ের কথা থাকলেও এসব নিয়মের কিছুই মানা হয়নি। যারা নির্মাণ কাজ সম্পর্কে অবগত তারা নির্মাণ কাজের মানের কথা বিবেচনায় এনে বলেছেন এ নির্মাণ কাজে ১০ লাখ টাকার বেশি ব্যয় হওয়ার কথা নয়।

এছাড়াও একই অধিদপ্তরের অধীন একই খাত থেকে রুমার বেথেল পাড়ার কাছাকাছি বাগানে যাওয়ার রাস্তায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে যোগসাজশ করে অপ্রয়োজনীয় স্থানে সেতু বানিয়ে লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। ব্যাপক অনিয়মের কারণে নানা ঝামেলায় পড়ে ঠিকাদার বর্ধিত সময়ের মধ্যেও সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেননি। 

নকশা পরির্বতন সহ নানা কারণে কাজ শেষ করার সময় বার বার বর্ধিত করা হয়েছিলো। সেতুটির নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য রয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও), এবং তার অনুপস্থিতিতে  সংশ্লিষ্ট দপ্তর/অফিসের কর্মকতা, কিন্তু পুরো নির্মাণ সময় ব্যাপী তাদের কাওকেই দেখা যায়নি প্রকল্প এলাকায়, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। 

এবিএন/চনুমং মারমা/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ