বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ মে ২০১৯, ১৩:৩২
পাবনার বেড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রোগীর পিতাকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বেড়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন লাঞ্ছিত ব্যক্তি।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকেল বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভার সানিলা গ্রামের মৃত রাজেম মোল্লার ছেলে সোনাই মোল্লাকে (৩৫) এলোপাথাড়ীভাবে কিল ঘুষি মেরে বাম চোখ, ঠোট মুখমন্ডলসহ শরিরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মিলন মাহমুদ ।
এ ব্যাপারে আহত সোনাই মোল্লা বলেন, আমি একজন প্রবাসী কয়েক দিন পূর্বে দেশে এসেছি। আমার ৫ বছরের ছেলে মোস্তাকিনের পায়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হলে আমি তৎক্ষণিক বাইসাইকেলে করে আমার ছেলেকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। তারাহুরো করে সাইকেল স্ট্যান্ডে সাইকেল না রেখে গেটের পাশে বাইসাইকেল রেখে দূত জরুরী বিভাগে যাই। জরুরী বিভাগে থেকে বের হয়ে দেখি আমার বাইসাইকেলটি এক ব্যক্তি লাথি মেরে ফেলে দিয়ে ঐ স্থানে সাইকেল রাখার জন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে।
এ সময় আমি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে নিষেধ করি, এতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে হঠাৎ করেই আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এতে আমার চোখ, ঠোটসহ মুখ মন্ডলে আঘাত করে রক্তাক্ত করে দেয়। আমি বেড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে সাহস না পেয়ে পার্শ্ববর্তী সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নেই।
এ ব্যাপারে ডা. মিলন মাহমুদের মুঠোফনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফন বন্ধ পাওয়া গেছে।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিদ মাহমুদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাবনার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. কেএম আবু জাফর বলেন বিষয়টি তার জানা নেই, জেনে কথা বলবেন । ডা. মিলন মাহমুদের বিরুদ্ধে রোগী পেটানোর অভিযোগ নতুন নয়। রোগীকে গালিগালাজ, চর থাপ্পর এটা তার নিত্যদিনের অভ্যাস।
ডাক্তার মিলন মাহমুদ প্রায় ৮/৯ বছর যাবত বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আছে। ৮ বসরে মাত্র ২ বার বদলি হলেও ভাঙ্গুরা ছিলেন ১ মাসের মত। এ ছাড়াও তার দুর্নীতির কারণে দ্বিতীয় বার বদলি হয় চাঁপাই নবাবগজ্ঞের ভোলাহাট। ভোলাহাটে বদলি হওয়ার কিছুদিন পরেই আবার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চলে আসেন। বেড়া পৌরসভার মধ্যে কয়েকটি ক্লিনিকের সাথে শেয়ার ব্যবসা, এবং একাধিক ক্লিনিকে রোগী দেখেন। হাসপাতালে ভর্তি এক রোগি বলেন, আজ ৪ দিন ভর্ত্তি আছি এখন পযর্ন্ত হাসপাতালের বড় ডাক্তারকে এক দিন ও দেখিনি।
ডা. মিলন মাহমুদ ক্লিনিক ও বিভিন্ন চেম্বারে রোগী দেখতে সব সময় সাচ্ছন্দ বোধ করেন। ডা. মিলন মাহমুদ স¦দর্পে বলে থাকেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন জায়গার অনেক বড় মাপের লোকের সাথে তার সাখ্যতা রয়েছে।
এবিএন/নির্মল সরকার/গালিব/জসিম
এবিএন/নির্মল সরকার/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ