আজকের শিরোনাম :

ডোমারে ধানের বাপ্পার ফলন হলেও ব্লাষ্ট রোগে শেষ দুই একর জমি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০১৯, ১৭:৫৩

নীলফামারীর ডোমারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের(বিএডিসি) বোরো ধানবীজ কর্মসূচীতে ৮০ একর জমিতে ধানের বাপ্পার ফলন হলেও দায়িত্বে অবহেলার কারনে সি ব্লকের প্রায় দুই একর জমির ধান ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া সি ব্লকের প্রদর্শনী প্লেটে ১৫ একর জমিতে ধানবীজ আবাদের কথা লিখা থাকলে ঐ ব্লকের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রতন রায় বলেন ১০ একর জমিতে ধানবীজ আবাদ করা হয়েছে।

 চলতি ইরি মৌসুমে ডোমার আলু ভিত্তিবীজ উৎপাদন খামারে ১২০ মেট্রিকটন উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করে ৮০ একর জমিতে(৬০ একর ২৮ ও ২০ একর ২৯ ধানবীজ) ধানের চাষ করা হয়। জমিতে ধানের বাপ্পার ফলন হলেও সিব্লকের দুই একরের বেশি ধান ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়,ডোমার কৃষি ফার্মের সি ব্লকে শ্রমিকরা ধান কর্তন ও  মাড়াইয়ের কাজ করছে । কম্পাইন হারভেক্টর মেশিনে ধান কর্তন ও মাড়াইয়ে কর্মরত শ্রমিকরা ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত বীজধান ক্ষেত  হতে সংগ্রহ করেছে।

ধানবীজ সংগ্রহের বিষয়ে কম্পাইন হারভেক্টর মেশিনের ড্রাইভার মোমিনুর রহমানকে জিজ্ঞেসা করলে তিনি বলেন,সংগ্রহিত ধান, বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে না । এইসব ধান পুরোটাই সীট হিসেবে কেজি দরে বিক্রয় করা হবে । সিব্লকের দায়িত্বরত এডি রতন রায় ধানে ব্লাষ্ট রোগের আক্রমনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,আবহাওয়ার কারনে এই রোগে ধানে ব্লাষ্ট রোগ আক্রমন করেছে। তবে বীজ হিসেবে এই ধানগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
কৃষি ফার্মের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক আতাউর রহমান জানান,আবহাওয়া ভালো না থাকায় সি ব্লকে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয় । প্রতিনিয়ত বৃষ্টির কারনে ছত্রাকনাশক ঔষধ স্প্রে করা যায়নি বিধায় সি ব্লকে প্রায় ২একর জমির ব্রিধান-২৮ চিঠা হয়েছে ।

সাধারন কৃষক অপেক্ষা আপনারা বীজধানে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নেরে জবাবে তিনি বলেন,সাধারন কৃষক প্রতি একরে যে পরিমান ব্যয় করেন আমরা সেই তুলনায় কম বরাদ্দ পাই । ডোমার ভিত্তিবীজ আলু উৎপাদন খামারের উপ পরিচালক এনামুল হক কিছু জমিতে ব্লাষ্ট রোগ আক্রমনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় ব্লাষ্ট রোগ আক্রমন করেছে। ধানের উৎপাদিত ব্যায় কত প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,টেন্ডারে ধান বিক্রি না করা পর্যন্ত কোন কিছু বলা সম্ভব নয়।
 

এবিএন/আব্দুল্লাহ আল মামুন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ