ফুলবাড়ীয়ায় বিক্রি হচ্ছে কৃত্রিম ভাবে পাকানো আম : দায়সারা বাজার মনিটরিং
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ মে ২০১৯, ১৬:০৪
ফুলবাড়ীয়ার বিভিন্ন হাট বাজারের ফলের দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে কুত্রিম ভাবে পাকানো আম। দাম বেশি পেতে মৌসুম শুরুর আগেই ব্যবসায়ীরা বিক্রি শুরু করেছে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো পাকা আম। রঙ দেখে পাকা মনে হলেও বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে কাঁচা আম পাকিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে।
ফুলবাড়ীয়া সদরে সাবেক জননী সিনেমা হলের সামনে এবং উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের ফলের দোকানে এসব আম দেদার বিক্রি হলেও দেখার কেউ নেই। কিছু দিন পূর্বে ফলের দোকান গুলিতে ভ্রাম্যমান আদালের অভিযান চালানো হলে এ ব্যাপারে তেমন কোন নজর দেওয়া হয়নি। তাই তো ক্রেতারা বেশী দাম দিয়েই কিনে নিচ্ছে এসব আম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরামতে অসময়ে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো এসব আম খেয়ে মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
কিছু কিছু অসাধু ফল ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিমসাগর, গোপালভোগ, গুটিআম, লক্ষণভোগসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা কাঁচা আম এনে তাতে রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে কাচা আমকে পাকা আমের মতো রং করে তা বাজারে বিক্রি করছেন। তাই তো পাকা আমের মৌসুম শুরুর আগেই পাকা আমে ছেয়ে গেছে ফুলবাড়ীযার বাজার। ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুম শুরুর আগে আমের চাহিদা বেশি থাকে। সরবরাহ কম থাকে। ফলে দাম বেশি পাওয়া যায়। এজন্য কাঁচা আম নানাভাবে পাকিয়ে বিক্রি করা হয়।
বিশেজ্ঞরা বলেন, বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আম আমদানি করার সময় ঝুড়িতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড, সোডিয়াম কার্বাইড মেশানো হয়। পরে পচন থেকে রক্ষা পেতে ফরমালিন মেশানো হয় এছাড়া আম নিয়ে আসার পথে কাগজে ক্যালসিয়াম কার্বাইড মুড়িয়ে আমের ঝুড়ির বিভিন্ন স্থানে রেখে ঝুড়িটা চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। রাস্তায় ১০-১২ ঘণ্টায় ক্যালসিয়াম কার্বাইড বাতাসের সংস্পর্শে এসে ধীরে ধীরে বাষ্প হয়ে মিলিয়ে যায়। আর আমের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে পাকা রঙ ধরে।
এছাড়া পুরনো কাপড়ে এসব রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে আমের ঝুড়িতে রেখে দিলে প্রচণ্ড তাপ সৃষ্টি হয়। এর ফলে কাঁচা আম একরাতেই পাকা রঙ ধরে যায় কিন্তু আমের ভেতরটা কাঁচা থাকে। আমের উপরিভাগ দেখে পাকা মনে হলেও তা আসলে কাঁচা আম। ভেতরটা থাকে শক্ত।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক আম ব্যবসায়ী জানান, এজন্য আধাপাকা অথবা কাঁচা আম এনে তা বিভিন্ন উপায়ে পাকিয়ে বাজারজাত করা হয়। এসব রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের কারণে ফলের পুষ্টিগুণ তো নষ্ট হচ্ছেই; সেই সঙ্গে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে স্বাদও। এসব ফল খেয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে। রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো খাবার খাওয়ার ফলে লিভার নষ্ট হওয়া, কিডনি নষ্ট ও পাকস্থলীতে রাসায়নিক দ্রব্য জমে হজমে সমস্যা নানা রোগ দেখা দিতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ বিধান চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বাজারে এখন আর আগের মতো ফরমালিন দেখা যায় না। তবে ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে কৃত্রিম ভাবে পাকানে হচ্ছে এগুলি খেলে বিভিন্ন ধরেনর জটিল রোগ হতে পারে
স্যানেটারী ইন্সিপেক্টর আবুবকর ছিদ্দিক বলেন, আমার গাছের আম পাকছে। বাজারে কি বিক্রি হচ্ছে না হচ্ছে তাতে আমার কিছু আসে যায় না। ছুটির দিনে বাজারে যেতে পারবো না।
এবিএন/হাফিজুল ইসলাম স্বপন/জসিম/তোহা
বিশেজ্ঞরা বলেন, বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আম আমদানি করার সময় ঝুড়িতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড, সোডিয়াম কার্বাইড মেশানো হয়। পরে পচন থেকে রক্ষা পেতে ফরমালিন মেশানো হয় এছাড়া আম নিয়ে আসার পথে কাগজে ক্যালসিয়াম কার্বাইড মুড়িয়ে আমের ঝুড়ির বিভিন্ন স্থানে রেখে ঝুড়িটা চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। রাস্তায় ১০-১২ ঘণ্টায় ক্যালসিয়াম কার্বাইড বাতাসের সংস্পর্শে এসে ধীরে ধীরে বাষ্প হয়ে মিলিয়ে যায়। আর আমের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে পাকা রঙ ধরে।
এছাড়া পুরনো কাপড়ে এসব রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে আমের ঝুড়িতে রেখে দিলে প্রচণ্ড তাপ সৃষ্টি হয়। এর ফলে কাঁচা আম একরাতেই পাকা রঙ ধরে যায় কিন্তু আমের ভেতরটা কাঁচা থাকে। আমের উপরিভাগ দেখে পাকা মনে হলেও তা আসলে কাঁচা আম। ভেতরটা থাকে শক্ত।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক আম ব্যবসায়ী জানান, এজন্য আধাপাকা অথবা কাঁচা আম এনে তা বিভিন্ন উপায়ে পাকিয়ে বাজারজাত করা হয়। এসব রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের কারণে ফলের পুষ্টিগুণ তো নষ্ট হচ্ছেই; সেই সঙ্গে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে স্বাদও। এসব ফল খেয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে। রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো খাবার খাওয়ার ফলে লিভার নষ্ট হওয়া, কিডনি নষ্ট ও পাকস্থলীতে রাসায়নিক দ্রব্য জমে হজমে সমস্যা নানা রোগ দেখা দিতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ বিধান চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বাজারে এখন আর আগের মতো ফরমালিন দেখা যায় না। তবে ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে কৃত্রিম ভাবে পাকানে হচ্ছে এগুলি খেলে বিভিন্ন ধরেনর জটিল রোগ হতে পারে
স্যানেটারী ইন্সিপেক্টর আবুবকর ছিদ্দিক বলেন, আমার গাছের আম পাকছে। বাজারে কি বিক্রি হচ্ছে না হচ্ছে তাতে আমার কিছু আসে যায় না। ছুটির দিনে বাজারে যেতে পারবো না।
এবিএন/হাফিজুল ইসলাম স্বপন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ