আজকের শিরোনাম :

বদলগাছীতে জমির মালিককে আটক রেখে বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর ও কলাগাছ কাটার অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০১৯, ১২:৪৬

নওগাঁর বদলগাছীতে জমির মালিককে বেঁধে রেখে জমি দখল করে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনও জমিতে থাকা ৫২টি কলাগাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে জমির মালিক ময়েনকে দুই ঘন্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে উদ্ধার করা হয়। 

জানা যায় গত ১৬ মে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভয়ালপুর গামের ‘বিটিএম হাইস্কুলের’ পাশে ৪০ শতাংশ জমির মালিক আব্দুল মান্নান ও তার ভাই ময়েন উদ্দিন। এরমধ্যে আব্দুল মান্নান তার অংশের ২০ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ে দান করছেন। বাঁকী অংশে ময়েন উদ্দিন কলা গাছ রোপন করেছেন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের অনুমোদন এসেছে এবং জায়গারও কিছুটা স্বল্পতা রয়েছে।

১৬ মে বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের বহুতল ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হবে। জোরপূর্বক ময়েন উদ্দিনের জমির উপর বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করার চেষ্টা করা হয়। এতে জমির মালিক বাঁধা প্রদান করেন। পরে মথুরাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ দিয়ে জমির মালিক ময়েন উদ্দিন ও তার ছেলে রায়হানকে বিদ্যালয়ের বারান্দায় অবরোদ্ধ করে রাখা হয়। 

পরে জমিতে থাকা ৫২টি কলাগাছ কেটে ফেলা হয় এবং ভিত্তিপ্রস্থর মাফযোগ করা হয়। দুপুর ১টার দিকে পুলিশ গিয়ে জমির মালিক ময়েন উদ্দিন ও তার ছেলে রায়হানকে উদ্ধার করা হয়।

জমির মালিক ময়েন উদ্দিনের ছেলে রায়হান বলেন, ৪০ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশের মালিক আমার বাবা। বাঁকী অংশ আমার বড় আব্বু বিদ্যালয়ে দান করেছেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ আমাদের বিদ্যালয়ের ঘরে বন্দি করে রেখে জমিতে থাকা ৫২টি কলাগাছ কেটে জোর পূর্বক ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলিপ কুমার রায় বলেন, ১৯৯৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ওই জমিটির খাজনা খারিজ সবকিছু বিদ্যালয়ের নামে আছে। কিন্তু জোরকরে ময়েন উদ্দিন এতোদিন দখলে রেখেছিল। ওই জায়গাতে বিদ্যালয়ের চারতলা ভবন নির্মাণ করা হবে কিন্তু তারা জায়গাটি ছাড়তে চাইছিলেন না। পরে চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় সেখানে ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে।

মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, তাদেরকে বিদ্যালয়ের ঘরে বন্দি করে রাখার বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তবে গ্রাম্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলাম তাদেরকে নিয়ে গিয়ে বারান্দায় বসে রাখবার জন্য। আর ওই জমিটি বিদ্যালয়ের নামে রয়েছে। বরং তারাই জোরপূর্বক জমিটি দখলে রেখেছিল।

বদলগাছীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, সংবাদটি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। 

এ ছাড়া জমির কাগজপত্র দেখার একতেয়ার নেই আদালতের রায় আমাদের কাছে আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জমির মালিক ময়েন উদ্দীন থানায় একটি অভিযোগ দাখিল কারা হয়েছে আদালতে মামলার প্র¯ুÍতি চলছে।

এবিএন/হাফিজার রহমান/গালিব/জসিম 


 
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ