আজকের শিরোনাম :

পাঁচবিবিতে ধান ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি কৃষকরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ মে ২০১৯, ১২:২৩

ইরি-বোরো ধানের দাম না থাকায় যেমনটা হতাশ অন্যদিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় ধান ব্যবসায়ীদের কাছে ঠিক তেমনি জিম্মি হয়ে পড়েছে কৃষকরা। কৃষকদের দাবি প্রতি বছর বিভিন্ন জেলা থেকে ধান ব্যবসায়ীরা এসে আমাদের কাছে চড়া দামে ধান ক্রয় করলেও এবছর উপজেলার ধান ব্যবসায়ী আড়ৎদার সমিতি থেকে নিষেধ করায় বাহিরের ধান ব্যবসায়ীরা এলাকায় আসতে পারছে না। যার ফলে স্থানীয় ধান ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে উপজেলার কৃষকরা। আর প্রতিদিন ধান কেনাবেচা হচ্ছে তাদের সুবিধামত বেঁধে দেওয়া দামে।

উপজেলা ধান ব্যবসায়ী আড়ৎদার সমিতির সভাপতি আইনুল ইসলাম বলেন, আমরা কৃষকের পক্ষে চোরের পক্ষে না। বাহির থেকে যেসব পাটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে ধান কেনার জন্য আসে এরা মূলত ধানের দাম মণে ৪০ টাকা বাড়িয়ে দিল। কিন্তু তারা ধান মাপার সময় ডিজিটাল বা কাটার সাহায্যে কারচুপি করে প্রতি মণে ৩-৪ কেজি ধান বেশি নিচ্ছে। এতে করে কৃষক প্রতারিত হচ্ছে। অন্যদিকে বিপাকে পড়ছে স্থানীয় ধান ব্যবসায়ীরা। আর সে কারণে সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর আমরাও চাই না যাতে করে কৃষকের কোনো ক্ষতি হোক।

উপজেলার ঢাকারপাড়া গ্রামের কৃষক নয়ন চৌধুরী, মসজিদের মোয়াজ্জেম তরকিুল ইসলাম সোঁনাকুল গ্রামের কৃষক বকুল চন্দ্র, রুনিহালী গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমানসহ এলাকার একাধিক কৃষক জানান, এ বছর ৫০ শতাংশ বিঘায় জমিতে বীজ রোপণ, সার, কীটনাশক, মাঁটি চাষ, সেচ ও শ্রমিক মজুরি সহ ১২-১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর বিঘায় ধানের ফলন হচ্ছে ২৮-৩০ মণ। যার বাজার মূল্য ৪৪০-৫০০ টাকা পর্যন্ত। সেই গড় অনুপাতে আনুসাঙ্গিক খরচসহ প্রতি বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা করে লোকশান পোহাতে হবে। তাই কৃষকদের দাবি ধানের প্রতি মণ অন্তত ৯শ’ টাকা হলে কিছুটা লাভের মুখ দেখবে তারা।

জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড: সামছুল আলম দুদু এমপি জানান, কৃষকরা যাতে ধানের ন্যায্য মূল্য পায় ও লাভবান হয় এটাই আমি চাই। তাছাড়া কৃষকের জমির ধান কৃষক কোথায় বিক্রি করবে না করবে সেটা কৃষকের ব্যক্তিগত বিষয়। সেখানে বাঁধা দেওয়ার কোনো আইন নাই। তবে বাহিরের কিছু ব্যবসায়ীর কারণে যদি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে কৃষদের সঙ্গে সমন্বয় করে ধান কিনতে হবে। তবে জোর করে কৃষককে বাঁধা দেওয়া যাবে না।

এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রথম থেকে ইরি-বোরো ধানের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও কৃষকের ঘরে তোলার আগ মুহুর্তে দেখা যায় ধানের পাতা মরা ও কারেন্ট পকার উপদ্রবসহ নানাবিধ রোগবালাই। এতে নতুন করে কৃষকের ব্যয় আরও বেড়ে যায়। চলতি ইরি-বোর মৌসুমে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে এ বছর ইরি বরো ধান রোপণের জন্য হাইব্রিড ১১০ হে. ও উফশী জাতের ধান লাগানোর জন্য ১,২৩০ হে. বীজতলা তৈরি করেছিল উপজেলার কৃষকরা।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ