আজকের শিরোনাম :

রাণীশংকৈলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্বে পুকুর দখলের অভিযোগ, আদালতে মামলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০১৯, ২২:০৬

ঠাকুরগাওঁয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্বে ব্যক্তি মালিকানা পুকুর জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তি আদালতে মামলা করেছে । মামলার পরে আদালতে গত ৫মে লিখিত জবাব দিলেও  ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনামুল হক সাংবাদিকদের নিকট মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বলেন এ বিষয়ে তার বিরুদ্বে মামলা হয়েছে কিনা তিনি জানেন না।

জানা যায়, উপজেলার ২নং নেকমরদ ইউপি পরিষদ সংলগ্ন ভবানন্দপুর মৌজার খতিয়ান নং এস এ,৩৫৮ এর ৩৭২ নং দাগে ৬৪ শতক এবং খতিয়ান এস এ ৩৫৪ এর৩৭১ নং দাগে ৫২ শতক জমিতে পুকুর রয়েছে। এ পুকুরটিতে র্দীঘদিন ধরে ঐ এলাকার রেকডিয় মালিক আবুল হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন মাছ চাষ করে আসছে। এর মধ্যেই হঠাৎ করে ২নং নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হকের নেতৃত্বে পুকুর ভরাট করার উদ্যোশে মাটি ফেলাতে শুরু করে।

মাটি ভরাটের চিত্র দেখে রেকডিয় মালিক দেলোয়ার হোসেন বাধা দিতে গেলে সেখানে তিনি কৌশলে অবলম্বন করে বলেন,এই পুকুরটিতে মাটি ভরাট করে ইদগাও নির্মাণ করা হবে বলে স্থানীয় মানুষের মধ্যে একটি সেন্টিমেন্ট তৈরী করে পুকুরে কয়েক ট্রলি মাটি ফেলে। পরে উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তি দেলোয়ার হোসেন গত ২২ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুলহকসহ মোট তের জনের নাম উল্লেখ্য করে তাদের বিরুদ্বে জোর পূর্বক পুকুর দখলের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ফলে পুকুর ভরাটের কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। আদালত মামলাটি  সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য আদালত রাণীশংকৈল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে দার্য়িত্ব দিয়েছেন।

এ বিষয়ে গতকাল বুধবার ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক মুঠোফোনে বলেন,দেলোয়ারের কোন পুকুর নেই। আর আমার নামে  মামলা হয়েছে কিনা আমি জানি না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, আদালতের নির্দেশে আমি উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়েছি। বিষয়টির সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।

এবিএন/মোঃ মোবারক আলী/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ