আজকের শিরোনাম :

বাউফলে ডাক্তারের বিরোদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০১৯, ১৭:৫৫

বাউফল হাসপাতালে সন্তানের চিকিৎসা করাতে এসে চিকিৎসকের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ (২২)। তার বাড়ি কালাইয়া ইউনিয়নের আয়নাবাজ কালাইয়া গ্রামে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওই গৃহবধূর সন্তানকে হাসপাতাল থেকে রেফাট করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, ঘটনার দিন বেলা সোয়া ১১টার সময় ওই গৃহবধূ তার ১১ মাস বয়সী সন্তানকে নিয়ে বাউফল হাসপাতালে আসেন এবং  ডাক্তার আবদুর রউফের অধিনে তাকে ভর্তি করেন। (হাসপাতালে ভতির্র রেজিস্ট্রেশন  নম্বর ২৭৪৮/৭) সন্ধ্যার দিকে ডাক্তার আবদুর রউফ ওই গৃহবধূকে মোবাইল ফোনে কল করে  হাসপাতাল কোয়াটারের তার চেম্বারে দেখা করতে বলেন। এরপর রাত ৮টার সময় ওই গৃহবধূ তার মাকে সাথে নিয়ে ডাক্তারের   চেম্বারে যান। ওই গৃহবধূর সাথে তার মাকে দেখে ডাক্তার রাগন্বিত হয়ে উঠেন এবং তাকে পুনরায় হাসপাতালে গিয়ে ভর্তির কাগজপত্র নিয়ে একা আসতে বলেন।
 
প্রায় ১০ মিনিট পর ওই গৃহবধূ ডাক্তারের চেম্বারে যান। তখন চেম্বারে তিনি ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। এই সুযোগে ডাক্তার আবদুর রউফ তাকে কুপ্রস্তাব দেন। তিনি রাজি না হওয়ায় ডাক্তার রউফ তাকে ঝাপটে ধরেন এবং শরীরের স্পর্ষ কাতর স্থানে হাত দেন। ওই গৃহবধূ ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে চেম্বার থেকে বাইরে এসে তার এক মামাকে মোবাইল করলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন এবং ডাক্তার রউফের চেম্বারে ঢুকে তাকে কিল ঘুষি মারেন।

ঘটনাটি ছড়িয়ে পরলে স্থানীয় কয়েক সাংবাদিকসহ ২০-২৫ জন লোক ঘটনাস্থলে জড়ো হন। ওই গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। এ দিকে এ ঘটনার পর বুধবার হাসপাতাল থেকে ওই গৃহবধূর সন্তানকে পটুয়াখালী রেফাট করা হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তাকে রেফাট করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ডাক্তার আবদুর রউফ বাউফল হাসপাতালে এর আগেও চাকুরী করেছেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী ঘটিত অভিযোগ উঠেছিল। কয়েক মাস আগেও তিনি এক তরুনীকে ভুল বুঝিয়ে কাবিন রেজিস্ট্রি ছাড়াই বিয়ে করেন এবং এক মাস পর তার সাথে সম্পর্ক ছেদ করেন। চারিত্রিক সমস্যার কারণে প্রথম স্ত্রী তাকে তালাক দেন। এরপর ডাক্তার আবদুর রউফ দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই স্ত্রী বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। বাউফল হাসপাতালের কোয়াটারে তিনি একা থাকেন। আর এই সুযোগে তিনি অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পরছেন।

এ ব্যাপারে ডা. আবদুর রউফ বলেন, ঘটানিট সত্য নয়। তার ভাবমূর্তী বিনষ্ট করতে একটি মহল এ অপপ্রচার চালিয়েছে।

বাউফল হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবাবর পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা (পিকে সাহা) বলেন, ঘটনাটি আমাকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। কোন লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। তবে ডাক্তারদের নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী করণিয় ঠিক করা হবে।


এবিএন/দেলোয়ার হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ