আজকের শিরোনাম :

প্রচণ্ড গরমে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে সিট সংকট

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ মে ২০১৯, ১৯:৩৫

গোটা উপকূলীয় উপজেলা জুড়ে তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৈদ্যুতিক পাখায়ও যেন মিলছেনা স্বস্তি। প্রচন্ড গরমের দিন দিন বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত মানুষ। রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। রোগীদের ভীড়ে ৫০ শয্যা হাসপাতালেও তিল পরিমান ঠাঁই নেই। অনেক রোগী সিট না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কলাপাড়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার এহাসপাতালে ৯৬ জন রোগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে গত তিন দিনে ৪০ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ পর্যন্ত রয়েছে নানা বয়সের রোগী । রবিবার রাত ১২ টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টায় ১৩ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গরমের ফলে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো। এছাড়া রোজাদার ব্যক্তিরা একটু স্বস্তির পরশ পেতে গাছের ছায়া এমনকি নদীর পাড়েও বসে থাকতে দেখা গেছে। একাধিক রোজাদার ব্যক্তি জানান, প্রচন্ড গরমে রোজা রাখতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত সুরমা আক্তারের মা মাহিনুর বেগম জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার মেয়েকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সিটনা পেয়ে মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

হাসপাতালের নার্সিং সুপাভাইজার ফৌজিয়া খানম জানান, ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিনই শতাধিক রোগী ভর্তি থাকে। এছাড়া আমতলী, তালতলী ও রাঙ্গাবালী উপজেলার রোগীরাও চিকিৎসা সেবা নিতে কলাপাড়া হাসপাতালে আসেন। অতিরিক্তি রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে তারা নিজেরাই রোগী হয়ে যাচ্ছে। ঔষধ সরবারহ থাকলেও সিট সংকটের কারনে অনেক রোগীকেই মেঝেতে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: রেফায়েত হোসাইন জানান, গরমের কারনে পানি বাহিত রোগসহ ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। আমারা রোগীদের  চিকিৎসা দিচ্ছি।

এবিএন/তুষার হালদার/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ