আজকের শিরোনাম :

ব্লাস্ট রোগ, শ্রমিক সংকট, দামও কম : কৃষকের মাথায় হাত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ মে ২০১৯, ১৫:৩১

একদিকে বোরো ধানের ব্লাল্ট রোগ অন্যদিকে ধানের সঠিক দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ভূঞাপুরের বোরো চাষীদের। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ধান চাষে আগ্রহ হারাবে সাধারন কৃষরা। উপজেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমান বাজারে প্রতি মণ বোর চায়না ধান বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকায়, ব্রি ধান ৫৮ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, ব্রি ধান ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা দরে।

যেখানে একজন কৃষকের ১ কেজি ধান চাষ করতে খরচ হচ্ছে ১৬ থেকে ১৭ টাকা অথাৎ ১ মণ ধান চাষ করতে ব্যয় চচ্ছে ৬৪০ থেকে ৭২০ টাকা। সেখানে তাদের এক মণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়। যা প্রতি মণ ধানে কৃষকদের লোকসান হচ্ছে প্রায় ২০০ টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি লোকসানে পড়ছে বর্গা চাষীরা। উৎপাদিত ফসলের অর্ধেক জমির মালিককে দেয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।
 
উপজেলার ভালকুটিয়া গ্রামের বোরো চাষী চাঁন মিয়া জানান, আমি এবছর ১১ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় প্রায় ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হলে ১ বিঘা জমিতে প্রায় ১৮ থেকে ২০ মণ ধান হয়ে থাকে। সেই হিসেবে ৫০০ টাকা মণ হলে ২০ মণ ধানের দাম হয় ১০ হাজার টাকা। দাম কম থাকায় প্রতি বিঘায় ৪ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। ভারই গ্রামের চাষী আবুল কাশেম বলেন, এবছর ১৬ বিঘা জমিতে বোর চাষ করেছি। তারমধ্যে ৩ বিঘা জমিতে ব্লাস্ট রোগে আক্রমণ করেছে।

তাছাড়া শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছি। প্রতিদিন একজন শ্রমিকের মুজুরি দিতে হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। সবমিলিয়ে বোরো চাষ করে এবছর মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে আমাদের। ফলদা গ্রামের চাষী ফরমান শেখ বলেন, ধানের ব্লাস্ট রোগ ও শীলা বৃষ্টির কারণে ফলন ঠিকমতো হয়নি। তাই এবছর ধান আবাদ করে বড় অঙের লোকসান হয়েছে আমার। জানিনা কিভাবে এই লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এবছর ভূঞাপুর উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে  সব ধরনের কৃষি পণ্যের দাম বাড়ার কারণে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। দিন রাত্রের তারতম্য ও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার কারণে কিছু জমিতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়েছি যার ফলে ব্লাস্ট রোগরে জীবাণু ধানের তেমন বেশি ক্ষতি করতে পারেনি। এছাড়া শীলা বৃষ্টির কারণেও ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।


এবিএন/কামাল হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ