আজকের শিরোনাম :

সিরাজগঞ্জে গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও ভুয়া এনজিও

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মে ২০১৯, ১৭:৩০

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বিসিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক ভাড়াটিয়া বাসায় অফিস প্রত্যাশা সমাজ কল্যাণ সংস্থা (রেজিঃ নং-ঢ-০৯০৭৮) নামের একটি ভুয়া এনজিওর ৫ কর্মকর্তা গ্রাহকের প্রায় ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। সেইসাথে গ্রাহকরা আমানত হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ বলে অভিযোগ উঠেছে ।

অভিযোগ প্রকাশ, প্রত্যাশা সমাজ কল্যাণ সংস্থা নামের ওই ভুয়া এনজিওর ভুয়া ৫ কর্মকর্তা গত ১ মে শাহজাদপুর পৌর এলাকার বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের বিসিক বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাবলুর বাসা ভাড়া নিয়ে ৪১তম ব্রাঞ্চ অফিস খোলা হয়। ওই কর্মকর্তাদের চলাফেরা ও চালচলনে অতি স্মার্ট হওয়ায় সহজেই শত শত গ্রাহক জুটে যায়। তারা ঈদকে সামনে রেখে ১০/২০ লাখ টাকা লোন দেয়ার প্রলভন দেখিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সরল মানুষকে গ্রাহক তৈরী করে।

ক্ষুদ্র সমিতি সৃষ্টি করে ওই সমিতির মাধ্যমে ২,৪, ৫,১০,২০ লাখ টাকা লোন দেয়ার নাম করে সঞ্চয়ী আমানত হিসেবে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫০ হাজার, ৪০ হাজার,২০ হাজার ১০ হাজার টাকা করে সঞ্চায় জমা নেয়। রোববার সকালে অফিসে তাদের নামের বরাদ্দকৃত লোনের টাকা নিয়ে যেতে বলা হয়। তারা অফিসে এসে দেখে অফিসের দরজায় তালা ঝুলছে এবং তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ।

এদিকে ওই এনজিওর স্থানীয় কর্মী বিউটি খাতুন সাংবাদিকদের জানান, তিনি ১৫ হাজার টাকা বেতনে গত ২ মে চাকুরিতে যোগদান করেন। তিনি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রাহক সংগ্রহ করে তাদের কাছ থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা সঞ্চয় আমানত তুলে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ফয়জাল হোসেনের কাছে জমা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ওইদিন সকালে অফিসে এসে দেখি কেউ নেই সবাই লাপাত্তা।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হোসেন ও সাথী খাতুনসহ কয়েকজন সদস্য জানান, তাদের ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা লোন দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে আনুপাতিক হারে আমানত জমা নিয়েছেন। ঈদকে সামনে রেখে তারা বহু কষ্টে টাকা পয়সা জোগার করে দিয়েছেন মোটা অংকের লোন পাওয়ার আশায়।

এদিকে ওই বাসার মালিক জানান, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ফয়জাল হোসেন, জাহিদ হোসেন, রেজাউল ইসলাম ১ লক্ষ্য টাকা সিকিউরিটিমানি ও ১৩ হাজার ৫০০টাকা মাসিক  ভাড়া দেয়া স্বীকার করে তারা আমার বাসায় উঠেছিলো। রোববার এ বিষয়ে তাদের সাথে আমার লিখিত চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তারা এই প্রতারণা করে পালিয়ে গেছেন।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খাঁন বলেন, এ বিষয়টি শুনেচি। ক্ষতিগ্রস্থদের ওই ভ’য়া এনজিও’র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


এবিএন/এস.এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ