কুমিল্লায় ধর্ষণ শেষে পুড়িয়ে মারায় ধর্ষককে ডাবল যাবজ্জীবন

ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা এক যুবতীকে কেরসিন দিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে তালেব হোসেন নামক এক ধর্ষককে ডাবল যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অপর একজন মহিলাকে যাবজ্জীবন ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে কুমিল্লার আদালত।

কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এম এ আউয়াল সোমবার দুপুরে আসামীদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলার মাতাইনকোট গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে তালেব হোসেন একই গ্রামের সেলিম মিয়ার মেয়ে নিলুফা আক্তারকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।

এরই এক পর্যায়ে নিলুফা আক্তার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এসময় তালেবকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে। তালেব টালবাহানা করে সময়ক্ষেপন করে। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারী রাতে একই গ্রামের আবদুল রহমানর স্ত্রী জোসনা বেগমকে দিয়ে নিলুফাকে ঘর থেকে ডেকে আনে।

এসময় জোসনা নিলুফার মুখ চেপে ধরে এবং তালেব কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩১ জানুয়ারী চিকিৎসাধীন অবস্থায়  সে মারা যায়।

এ ঘটনায় তার বাবা সেলিম মিয়া বাদি হয়ে তালেব হোসেন ও জোসনা বেগমকে আসামী করে থানায় মামলা করে। পুলিশ তদন্ত শেষে ঐ বছরের ১৭ এপ্রিল অভিযোক্ত দুজনের নামে চার্জশীট দেয়। এ মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়।  

এবিএন/শাকিল মোল্লা/জসিম/তোহা