আজকের শিরোনাম :

জামালপুরে সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে গৃহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ মে ২০১৯, ১৫:৫২

জামালপুরের এক সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে বাসার গৃহকর্মীকে একের পর এক ধর্ষণ এবং  পরবর্তীতে গর্ভাবস্থায় অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ফাঁস হওয়ায় বিক্ষুব্দু হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। 

লম্পট শিক্ষা অফিসার মাজেদুল ইসলামকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে গতকাল শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরী বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানায়, প্রায় ১ বছর আগে সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল মোতালেব মাস্টারের ছেলে মাজেদুল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেয়। মাজেদুল ইসলাম মেলান্দহ উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার স্ত্রী নাজমা আক্তারও একজন স্কুল শিক্ষিকা। কিছুদিন কাজ করার পর থেকেই গৃহকর্তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রতি শনিবার তাকে নানাভাবে যৌন হয়রানী করে। এক পর্যায়ে তাকে হাত ও মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা ফাঁস না করার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর থেকেই প্রতি শনিবার স্ত্রী স্কুলে চলে যাবার পর নিয়মিত তাকে ধর্ষণ করে আসছিল। 

এ অবস্থায় কিশোরীর শারীরিক গঠন পরিবর্তন দেখা দিলে চতুর শিক্ষা অফিসার মাজেদুল ইসলাম দুই মাস আগে তাকে পাশর্^বর্তী পিঙ্গল হাটি গ্রামে রোকন নামে এক যুবকের কাছে বিয়ে দেয়। 

এ দিকে বিয়ের দুই মাস পার হলেও গৃহবধূ আকলিমার ঋতু¯্রাব না আসায় তার শাশুড়ী ঔষধ খাওয়ানোর পর ৭ মাসের একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করে। বিয়ের দুই মাসের মাথায় ৭ মাসের বাচ্চা প্রসব করায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। লোক লজ্জার ভয়ে স্বামী রোকনের পরিবার সদ্য ভূমিষ্ট মৃত সন্তানসহ আকলিমাকে বাবার বাড়িতে রেখে যায়। 

এ ঘটনা জানাজানির পর আকলিমা প্রতিবেশীদের কাছে গৃহকর্তা মাজেদুলের পাশবিক যৌন নির্যাতনের কাহিনী খুলে বললে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী মাজেদুলের বাড়ী ঘেরাও করে বিচারের দাবি করে। ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকেই মাজেদুল পলাতক রয়েছে।

জামালপুর সদর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান জানিয়েছেন, গৃহকর্মী আকলিমার ওপর পাশবিক যৌন নির্যাতনের ঘটনায় মাজেদুল ইসলামকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা নেয়া হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, আকলিমার গর্ভের মৃত সন্তানের ময়না তদন্ত ও শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও গৃহকর্তা মাজেদুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে জামালপুর জেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য ওই সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিএন/শাহ্ জামাল/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ