আজকের শিরোনাম :

সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকারের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ মে ২০১৯, ১২:৩৩

সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শত শত অসাধু জেলে মরা গোনে নদীতে ¯্রােতের বেগ কম থাকার সুযোগে বনের ভেতরের খালগুলোয় তরল রিপকর্ড রাসায়নিক বিষ প্রয়োগ করে চিংড়ি মাছ ধরা অব্যাহত রেখেছে। জোয়ার পরিপূর্ণ হওয়ার পর খালের নিচের অংশে ছোট ফাঁসযুক্ত ভেষালি জাল পেতে দেওয়া হয়। 

এরপর ডিংগি নৌকা বেঁয়ে দ্রুত খালের অগ্রভাগে পৌঁছে রিপকর্ড বিষ ঢেলে দেয় ধুরন্দর জেলেরা। ভাটা শুরু হলে খালের অগ্রভাগের পানি নিচের দিকে চলে আসতে শুরু করে। তখন বিষ ক্রিয়ায় আক্রান্ত খালের ভেতরের ছোট বড় সমুদয় চিংড়ি মাছ মরে খালের নিচের অংশে পাতানো ভেষালি জালে জড়ো হতে থাকে। ভাটা শেষ হলে প্রতিটি ভেষালি জালে ১৫/২০ কেজি মরা চিংড়ি মাছ পাওয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৫-৬ হাজার টাকা। 

এভাবে বিষ প্রয়োগ করে দৈনিক একজন জেলে ৪/৫ হাজার টাকা আয় করে। বিষ ক্রিয়ায় আক্রান্ত চিংড়ি কিছুক্ষণ পর লালচে বর্ণ ধারণ করে। অসাধু জেলেরা পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের কটকা, ধানসাগর, জয়মনি, সুপতি, আদাচাকি, মার্কি, মান্দারবাড়ি, গেড়া, চালকি, মোল্লাখালি, ডাগরা, নাগজোড়া, বাটলু, শাপখালি, টেংরাখালি, জামতলা, ডিঙিমারি, নোটাবেকি, ছেড়া, হংসরাজ, গেওয়াখালি, পাথকষ্টাসহ বনের ভেতরের অসংখ্য নদী খালে সারা বছর বিষ দিয়ে মাছ শিকার করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। এতে বিলুপ্ত হচ্ছে ছোট প্রজাতির সমুদয় মাছ। ক্ষতি হচ্ছে সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদের। 

বিষ প্রয়োগ রোধে বন বিভাগ পরিচালিত স্মাট পেট্র্র্রোলিং টিম গত এক বছরে বিষ ঢেলে মাছ শিকারের অপরাধে হাতেনাতে ২৬ জেলেকে আটক করে জেল-হাজতে প্রেরণ করে। কিছুদিন পর জামিনে মুক্ত হয়ে তারা পুরনায় সুন্দরবনে প্রবেশ করে আগের মত করে মাছ শিকার করছে।

এ ব্যাপারে পশ্চিম সুন্দরবনের কোবাদক ফরেষ্ট স্টেশন কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, বিষ দিয়ে মাছ শিকার করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। কোন জেলের নিকট বিষ কিংবা রাসায়নিক দ্রব্য পাওয়া গেলে সে সকল জেলের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এবিএন/শহীদুল্লাহ শাহীন/গালিব/জসিম       
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ