রাজবাড়ীতে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা, আটক ১
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ মে ২০১৯, ২২:৩৪
রাজবাড়ীতে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রী (১৪) এর মুখ আটকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক জামা কাপড় খুলে নগ্ন করে মোবাইল ফোনে ছবি ধারণ এবং ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবার হুমকী দিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমন অভিযোগে ১০মে শুক্রবার সকালে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার আসামিরা হলো, রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের মান্নান সেখের ছেলে হারুন সেখ (৩০), মুকুন সরদারের ছেলে রিপন সরদার (২৫) এবং রশিদ সেখের ছেলে তৈয়ব সেখ (৩০)।
ওই ছাত্রী বলেন, ৭মে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বাড়ীর টিউবওয়েলে অজু করতে যায়। সে সময় ওই আগে থেকে উৎপেতে থাকা পায়ে হাটা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল হারুন, রিপন ও তৈয়ব। তারা হঠাৎ করেই ওই টিউবওয়েলের কাছে আসে এবং তারা আমার মুখ আটকে ধরে পাশ্বর্তী একটি মেহগনী বাগানে নিয়ে যায়। পরে পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া ইমন ভাই এগিয়ে আসলে তার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে
জামাকাপড় খুলতে বলে। আমি খুলতে অস্বীকৃতি জানালে গাছের ডাল ভেঙে ইমন ভাই ও আমার পিঠে বাড়ি ও গালে চড় থাপ্পর মারে এবং জোরপূর্বক আমাদের জামাকাপড় খুলে ফেলে। সেই সাথে প্রথমে রিপন ও তৈয়ব এবং পরে হারুন মোবাইল ফোনে নগ্ন ছবি ধারণ করে। পরে ২০ হাজার টাকা আগামী করে বলে যে দুই দিনের মধ্যে টাকা না দিলে এই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিবে। তখন তুই আর মুখ দেখাতে পারবি না। একথা বলে ওরা চলে যায়। ওই ছাত্রীর বাবা জানান, তৈয়ব, হারুন ও রিপন বখাটে। তারা এলাকায় অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। এখন আমার জীবনও নষ্ট করার চেষ্টায় মেতে উঠেছে। তিনি আরো বলেন হারুন এর আগে একটি মামলায় জেল খেটেছে। এই বখাটেরা ভেবেছে ওর মা বিদেশে থাকে টাকা চাইলেই পাওয়া যাবে। জেলা পরিষদের সদস্য নাজমুল হাসান মিন্টু, জানান, ন্যক্কারজনক ঘটাটি শোনার পরে আমি নিজে ঐ ছাত্রীর বাড়িতে গিয়েছি। অপরাধীদের যাতে শাস্তি হয় সে বিষয়ে আমি সকল প্রকার চেষ্টা করবো। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সেই সাথে প্রধান আসামি হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গতকাল বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এবিএন/খন্দকার রবিউল ইসলাম/জসিম/রাজ্জাক
জামাকাপড় খুলতে বলে। আমি খুলতে অস্বীকৃতি জানালে গাছের ডাল ভেঙে ইমন ভাই ও আমার পিঠে বাড়ি ও গালে চড় থাপ্পর মারে এবং জোরপূর্বক আমাদের জামাকাপড় খুলে ফেলে। সেই সাথে প্রথমে রিপন ও তৈয়ব এবং পরে হারুন মোবাইল ফোনে নগ্ন ছবি ধারণ করে। পরে ২০ হাজার টাকা আগামী করে বলে যে দুই দিনের মধ্যে টাকা না দিলে এই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিবে। তখন তুই আর মুখ দেখাতে পারবি না। একথা বলে ওরা চলে যায়। ওই ছাত্রীর বাবা জানান, তৈয়ব, হারুন ও রিপন বখাটে। তারা এলাকায় অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। এখন আমার জীবনও নষ্ট করার চেষ্টায় মেতে উঠেছে। তিনি আরো বলেন হারুন এর আগে একটি মামলায় জেল খেটেছে। এই বখাটেরা ভেবেছে ওর মা বিদেশে থাকে টাকা চাইলেই পাওয়া যাবে। জেলা পরিষদের সদস্য নাজমুল হাসান মিন্টু, জানান, ন্যক্কারজনক ঘটাটি শোনার পরে আমি নিজে ঐ ছাত্রীর বাড়িতে গিয়েছি। অপরাধীদের যাতে শাস্তি হয় সে বিষয়ে আমি সকল প্রকার চেষ্টা করবো। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সেই সাথে প্রধান আসামি হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গতকাল বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এবিএন/খন্দকার রবিউল ইসলাম/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ