আজকের শিরোনাম :

তরুণীকে দু’দিন আটকে রেখে ধষণর্: আটক ৩

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মে ২০১৯, ১৯:৫৭

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দু’দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার (১০ মে) তিনজনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন সালথা উপজেলার বল্লভর্দী ইউনিয়নের এক তরুণী।

তরুণীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শুক্রবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। পুলিশ এজাহারভুক্ত তিন আসামি ইউসুফ (২০), মেহেদী (২৪) ও আকমল বিশ্বাসকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত চার মাস ধরে পাশের সালথা উপজেলার বল্লভর্দী ইউনিয়নের ১৯ বছরের ওই তরুণীর সাথে বোয়লামারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বনচাকী গ্রামের ছবর শেখের ছেলে মো. ইউসুফ শেখের (২০) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ইউসুফ ওই তরুণীকে বিয়ে করার কথা বলে মোবাইল ফোনে বোয়ালমারীর পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া বাজার এলাকায় আসতে বলে।

সে ময়েনদিয়া বাজারে আসার পর ইউসুফ তাকে নিয়ে ময়েনদিয়া বাজার এলাকার হাবুল শেখের ছেলে মেহেদী হাসানের বাড়িতে তোলে। ওইদিন রাতে ইউসুফ ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ওই বাড়ির একটি ঘরে আটকে রাখে। পরের দিন বনচাকী গ্রামের আকমল বিশ্বাস ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।

ঘরে আটকে রাখা এবং ধর্ষণের খবরটি ওই তরুণী মেহেদীর ফুপাতো ভাইয়ের মাধ্যমে বোয়ালমারী থানা পুলিশকে জানায়। বোয়ালমারী থানার পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে মেহেদীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে এবং ইউসুফ ও মেহেদীকে গ্রেফতার করে।

বোয়ালমারী থানার ওসি এ কেএম শামীম হাসান বলেন, আটক ইউসুফ ও মেহেদীকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার অপর আসামি আকমলকে কোতয়ালী থানা পুলিশের সহায়তায় শুক্রবার বিকেল ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ