আজকের শিরোনাম :

সুন্দরবনে কোন ভাবেই থামছে হরিণ শিকার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মে ২০১৯, ১১:২৬

কোন ভাবে থামছে না সুন্দরবনের হরিণ নিধন। প্রায় সময় ধরা পড়ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে হরিণের মাংসসহ ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। 

কোস্টগার্ডের অভিযানে পূর্ব সুন্দরবনের মোংলা, জয়মনি, চাঁদপাই, কটকাসহ বনের বিভিন্ন জায়গা থেকে হরিণের মাংস, চামড়া, হরিণ ধরার ফাঁদসহ হরিণ শিকারী আটক করা হচ্ছে। 

পশ্চিম সুন্দরবনের শিবসা নদী, কয়রা নদী, জোড়শিং, হড্ডাসহ অন্যান্য এলাকা থেকে হরিণের মাংস আটক হওয়া নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

পাচার হওয়া হরিণের মাংস চোরা শিকারীরা গোপনীয়তা বজায় রেখে ৪/৫শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সুন্দরবন এলাকায় বেড়াতে আসা লোকজনের মেহমানদারীতে চোরা কারবারীরা চড়া মূল্যে হরিণের মাংস বিক্রি করে থাকে। 

বন বিভাগ পরিচালিত টাইগার টিম, স্মাট পেট্রোলিং টিম হরিণ শিকার রোধে তৎপর থাকলেও চোরা শিকারীদের দৌরাত্ম ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। গত ২৫ এপ্রিল কোবাদক ফরেষ্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. বেলালা হোসেন আন্দরমানিক বন এলাকা থেকে ৫৪টি হরিণ ধরার ফাঁদ উদ্ধার করে। 

গতকাল ৯ মে সুন্দরবন সংলগ্ন জোড়শিং এলাকা থেকে ব্যাগ ভর্তি হরিণের মাংস নিয়ে মোটরসাইকেলে কয়রা সদরে যাওয়ার পথে কাটকাটা পুলিশ ফাঁড়ির নিকট পৌঁছলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জালাল গাজী নামের এক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল চালক। ঐদিন মামলা দিয়ে আটকদ্বয়কে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ধৃত জালাল গাজীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে মামলায় ৭ জনকে আসামি করা হয় বলে ওসি (তদন্ত) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহ বলেন, হরিণ শিকার রোধে বন বিভাগ তৎপর রয়েছে। চোরা শিকারীদের নাম ঠিকানা কেউ জানতে পারলে বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও স্টেশন কর্মকর্তাদের নিকট সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। 

এবিএন/শহীদুল্লাহ শাহীন/গালিব/জসিম    
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ