আজকের শিরোনাম :

রাজারহাটে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষে আহত ৪

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০১৯, ১৬:৪৯

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কলেজ ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ছাত্রী সহ ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৩ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

মামলা সুত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার আইরখামার গ্রামের আব্দুস ছালামের কন্যা ও বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মণিকা আক্তার মিশু (১৭) কে পার্শ্ববতী কুড়িগ্রাম জেলাধীন রাজারহাট উপজেলার মীরের বাড়ি এলাকার গোলজার হোসেন এর পুত্র জয়নুল আবেদীন (২০), আল আমিন (১৮) এবং মোজাম্মেল হকের পুত্র জসিম উদ্দিন (১৯) কলেজ যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই সময় প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে ওই কলেজ ছাত্রী রাজি না হওয়ায় তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

বিষয়টি ওই কলেজ ছাত্রী তার পিতা আব্দুস ছালামকে জানায়। মণিকার পিতা ইভটিজারদের অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ৫ মে ওই ছাত্রী সকাল ১০টায় বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় তার বাড়ীর পাশে সোনালী সমবায় সমিতির সামনে গেলে ওই ৩ বখাটে যুবক কলেজ ছাত্রীর পথরোধ করে যৌন নিপীড়ন করে। তার আত্মচিৎকারে পার্শ্ববর্তীরা এগিয়ে আসে।

 খবর পেয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর পিতা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এর প্রতিবাদ করতে গেলে বখাটে ও তাদের অভিভাবকরা এসে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে  ওই কলেজ ছাত্রীসহ তার পিতা আব্দুস ছালাম (৪০), মাতা জেলেখা বেগম (৩৬)সহ তার ভাই মোজাহিদুর রহমান মারুফ (২০) গুরুতর আহত হয় । পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রী মণিকার পিতা আব্দুস ছালাম বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাজারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-৭।

এ বিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের গতকাল বিকেলে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।  অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
 

এবিএন/রনজিৎ কুমার রায়/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ