আজকের শিরোনাম :

রাজবাড়ীতে জন্ম সনদ জালিয়াতির অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০১৯, ১৬:৩৬

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আতিয়ার রহমান, সচিব গোলাম মোস্তাফা এবং ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মোঃ মিরাজ আলীর বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীর জন্ম সনদ জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এবিষয়ে স্কুল ছাত্রীর মা পারভীন আক্তার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিতভাবে অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন। অভিযোগ তদন্তে জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের নাওডুবি গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম এর কন্যা মাসুমা আক্তার এবছর রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় (রোল নং- ৪৪০৯৭৪, রেজিনং- ১৫১০৩৭৫৮৯৯) অংশগ্রহণ করেছে। এসএসসি পরীক্ষার নিবন্ধন অনুযায়ী তাহার জন্ম তারিখ- ২৩/০৮/২০০২। অথচ নাবালিকা মেয়েকে সাবালিকা উল্লেখে বিবাহ উপযোগী করার জন্য একটি চক্র মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতিয়ার রহমান, সচিব গোলাম মোস্তফা এবং তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মোঃ মিরাজ আলীর যোগসাজশে আমার মেয়ের প্রকৃত জন্ম তারিখ ২৩/০৮/২০০২ তারিখ পরিবর্তন করে ১২-০৩-২০০০ উল্লেখে (যাহার নিবন্ধন বহি নং-৩, নিবন্ধনের তারিখ: ০৬-০৭-২০০৭, সনদ ইসুর তারিখ: ০৩-১২-২০১৮, নিবন্ধন নম্বর : ২০০০৮২১৭৬৫১০০৮৬০১) চেয়ারম্যানের সীলমোহরযুক্ত জন্মসনদ সৃজন করেছে।

এদিকে সৌদী আরব প্রবাসী মোঃ নজরুল ইসলাম এর কন্যা মাসুমা আক্তারের জন্ম সনদ জালিয়াতির বিষয়ে তথ্যানুসন্ধানে আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওই জাল সনদ ব্যবহার রাজবাড়ী পৌরসভার ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিকাহ্ রেজিষ্টার মোঃ মনিরুজ্জামান (মনির) গত ২৫ এপ্রিল একটি বিবাহ রেজিষ্ট্রি (রেজি:-এ, ভলিউম-১৯/১, পৃষ্ঠা-২৫) সম্পন্ন করেছেন।
জানা গেছে, রাজবাড়ী শহরের বিশিষ্ট কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেনের পুত্র আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ইয়েন এর সাথে মাসুমা আক্তার নামের ওই স্কুল ছাত্রীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

কাবিন রেজিষ্ট্রি অনুযায়ী গত ২৫ এপ্রিল এই বিয়ে সম্পন্ন হলেও বর ইয়েন ও তার পিতার দাবী গত এক মাস যাবত মাসুমা তাদের বাড়ীতে অবস্থান করছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষতিয়ে দেখবেন কী?

এ বিষয়ে মাসুমার মা পারভীন আক্তার বলেন, আমার মেয়ে সবেবরাত এর পরের দিন ২২ এপ্রিল গ্রামের বাড়ি নাওডুবি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে বিভিন্ন আত্বীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ খবর নিয়েও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে জানতে পারি যে কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেনের বাড়িতে আছে। পরে তাদের সাথে যোগযোগ করলে তারা বলে যে তার ছেলের সাথে মাসুমার বিয়ে হয়েছে। আমার নাবালিকা মেয়েকে কি ভাবে বিয়ে দিয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে মাসুমার জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি করে বসয় বাড়ানো হয়েছে। পরে আমি জন্মনিব্ধন জালিয়াতীর বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

তিনি আরো বলেন, আমার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে বিয়ে করে যারা তাদরে বাড়িতে রেখেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

এবিএন/খন্দকার রবিউল ইসলাম/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ