আজকের শিরোনাম :

ভূঞাপুরে উপজেলা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এন্টিবায়োটিক আর আয়রণ ট্যাবলেটে চলছে চিকিৎসা সেবা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০১৯, ১৩:২০

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও কালিহাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত নিকরাইল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এ দুই উপজেলার ১০-১২টি গ্রামের লোকজনের একমাত্র চিকিৎসার ভরসাস্থল হিসেবে প্রতিদিন শত শত রোগী আসে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে। কিন্তু চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ না পেয়ে তাদের যেতে হচ্ছে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে। 

এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য একজন এমবিবিএস ডাক্তার বরাদ্দ থাকলেও এখন পর্যন্তও তার দেখা পাননি রোগীরা। 

সরজমিনে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল, কয়েড়া, আমুলা, আকালু, চর কয়েড়া, নলুয়া এবং কালিহাতী উপজেলার সরাতৈল, মাইজবাড়ি, গোহালিয়া বাড়ি, যোকারচরসহ ১০-১২ গ্রামের সাধারণ মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল নিকরাইল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। প্রতিদিন শত শত রোগী আসে চিকিৎসা নিতে। কিন্তু এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির খুবই করুণ দশা। ভাঙা এ ঘরটিতে একটু বৃষ্টি হলেই মেঝেতে পানি জমে থাকে। ওষুধ রাখার আসবাবপত্র গুলোরও বেহাল দশা। নেই কোন বেডের ব্যবস্থা। রোগী আসলে মেঝে অথবা বেঞ্চে শুয়ে রাখা হয়। এক কথায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রর ভিতরে চিকিৎসার কোন পরিবেশ নেই বললেই চলে। 

এ দিকে এন্টিবায়োটিক ও আয়রন ট্যাবলেট ছাড়া আর কোন ওষুধ সরবরাহ হয়না এখানে। তিনমাস বন্ধ রয়েছে খাবার স্যলাইন সরবরাহ। নেই প্যারাসিটামল, এন্টাসিডসহ গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। ডা. ফৌজিয়া নামে একজন এমবিবিএস বরাদ্দ থাকলেও রোগীরা তাকে এখন পর্যন্ত দেখেনি। এখানে আব্দুল মালেক নামে একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার থাকলেও অধিকাংশ সময় তাকে পাওয়া যায়না। 

চিকিৎসা নিতে আসা আকালু গ্রামের নাজমা বেগম বলেন, আসছিলাম ছোট বাচ্চা নিয়ে ডাক্তারের কাছে। কিন্তু কোন ওষুধ পাইনি। একটা কাগজ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন এখানে ওষুধ নেই বাইরে ফার্মেসি থেকে কিনতে হবে। নলুয়া গ্রাম থেকে আমজাদ আলী এসেছেন তার স্ত্রীর পেট ব্যথার চিকিৎসা নিতে। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় ভিতরে বেঞ্চেই শুয়ে থাকতে হয় তাকে। আমাজাদ আলী আর নাজমা বেগেমের মতো প্রতিদিন শত শত রোগী আসলেও চিকিৎসা সেবা না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে তাদের।

নিকরাইল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট সাইদুর রহমান বলেন, হাসপাতাল থেকে ওষুধ না আসলে আমরা কিভাবে দিবো। এন্টিবায়োটিক আর আয়রন ট্যাবলেট ছাড়া আর কোন ওষুধ নেই।

উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল মালেক বলেন, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির অবস্থা খুবই খারাপ। ওষুধ নেই চালাবো কেমনে। আসবাবপত্র পত্র ভাঙা। ভিতরে তেলাপোকা আর ইদুরের বাসা।  দ্রুত এর সংস্কার প্রয়োজন। 

এ দিকে দ্রুত এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সংস্কার করে চিকিৎসা সেবার মান উন্নত ও বরাদ্দকৃত এমবিবিএস ডাক্তারের নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন রোগী ও এলাকাবাসী। 

এবিএন/কামাল হোসেন/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ